রংপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব, সাহসী ও কারানির্যাতিত নেতা আনিছুর রহমান লাকুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও নিহতের পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ রংপুরের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা। ঢাকায় রংপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিলের সাংগঠনিক কাজ শেষে বগুড়ায় ফিরে গতকাল সকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দ্রুত শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি দুই মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি রংপুর-৩ সদর আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। আগামী ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা বিএনপির কাউন্সিলে তিনি ছিলেন একমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী।
গতকাল মরহুম আনিছুর রহমান লাকুকে অশ্রু, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানান হাজারো মানুষ। বাদ আসর রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এরপর বাদমাগরিব হোমিওপ্যাথি কলেজ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে ছোট নুরপুর কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আনিছুর রহমান লাকুর রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাঁরা বলেন, তিনি ছিলেন সৎ, পরিচ্ছন্ন, সংগ্রামী ও কারানির্যাতিত নেতা। দল, মত, ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষে সব পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেছিলেন আনিছুর রহমান লাকু। তিনি বিএনপির দুর্দিনে মাঠে থেকে দলের নেতা-কর্মীদের মনোবলকে চাঙ্গা রেখেছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলায় তাঁকে ১০ বছরের কারাদ দিয়েছিল। এর পরও তিনি দল ত্যাগ না করে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে ছিলেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, জামায়াতে ইসলামীর মহানগর আমির এ টি এম আজম খান, ইসলামী আন্দোলনের মহানগর সভাপতি আবদুর রহমান কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজীব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন, এবি পার্টির জেলা সভাপতি আবদুল বাসেত মারজান, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি প্রমুখ।