জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ও ইসলামি বক্তা আমির হামজার মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমির হামজা নামে একজন বক্তার বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমির হামজা তাঁর বক্তব্যে দাবি করেছেন, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এবং আবাসিক হলে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করতে দেখেছেন। তিনি আরও বলেছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটান। প্রকৃতপক্ষে তাঁর কোনো বক্তব্যই সত্য নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানাচ্ছে যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে ‘জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ’ চালু হয় এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে এই বিভাগে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। সুতরাং তিনি জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হওয়ার যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা সত্য নয়। আবাসিক হলগুলোতে সকালে মদ দিয়ে কুলি করার প্রত্যক্ষ করার বর্ণনাটিও তাঁর মনগড়া, যা অসত্য। প্রমাণসহ এমন নজির প্রশাসনের কাছে নেই। ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটানোর তাঁর বক্তব্যটি সত্যের অপলাপমাত্র। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তঃসম্পর্কের বন্ধন সব সময়ই প্রশংসনীয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমির হামজাকে এ ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদানে সতর্ক ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
এদিকে আমির হামজার ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা অনতিবিলম্বে আমির হামজাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি কয়েকজন শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে আমির হামজার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানহানি করার দায়ে বিচারের দাবি জানিয়েছেন।