বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশের জন্য জুলাই সনদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আইনি স্বীকৃতি দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশে এখনো নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি উল্লেখ করে তিনি প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে গোটা দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। খেলাফত মজলিস গোপালগঞ্জ জেলা শাখার মাওলানা ফারুক হাসান নদভীর সভাপতিত্বে গণসমাবেশে কেন্দ্রীয় মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মুফতি শরাফত হুসাইন, যুগ্ম মহাসচিব শরীফ সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন খান, গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এম এম রেজাউল করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের প্রসঙ্গ তুলে মামুনুল হক বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে- জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে। কিন্তু সেই উচ্চকক্ষ কীভাবে গঠিত হবে সেটা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পক্ষগুলো এক মতে আসতে পারেনি। আমাদের জন্য এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়। জুলাই বিপ্লবে যাদের সন্তানরা রক্ত দিয়ে ৫ আগস্ট নতুনভাবে স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদন করেছে।
শাহাদতবরণকারীদের আত্মত্যাগের এত অল্প সময়ের মধ্যে জুলাই বিপ্লবের অংশীজনরা নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক যে বিভক্তি ও বিরোধের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে। দেশের মানুষ তা দেখতে চায় না। আমরা চাই জুলাই সনদের ভিত্তিই হবে আগামীর বাংলাদেশের প্রধান রোডম্যাপ। তিনি বলেন, আগামীর গোপালগঞ্জ হবে এ জমিন থেকে সব জাহেলিয়াত, অন্যায়, জুলুম এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার এক নতুন গোপালগঞ্জ।