প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী ৫ মিলিয়ন ডলারের (৬০ কোটি টাকা) বিনিময়ে ‘গোল্ড কার্ড’ তথা মার্কিন নাগরিকত্ব ক্রয়ে আগ্রহীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশ, ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসায়ীরা। তবে এ কর্মসূচির সমর্থনে মার্কিন কংগ্রেসে এখন পর্যন্ত কোনো বিল ওঠেনি। ফলে ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সিটিজেনশিপ বিক্রির এ কর্মসূচির পরিপূরক সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা এখনো পাওয়া যায়নি ইউএসসিআইএস (সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস) থেকে। মুসলিম অধ্যুষিত এবং আফ্রিকান ১৯ দেশের নাগরিকের জন্য মার্কিন ভিসা নিষিদ্ধ এবং কড়াকড়ির নির্দেশ কার্যকর হওয়ার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘লাল গালিচা অভ্যর্থনা’র ‘গোল্ডকার্ড’ ক্রয়ে আগ্রহী বিদেশিদের তথ্য শীর্ষস্থানীয় মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’ প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সংস্থাসমূহে নিজেদের নাম লিখিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাবমিট করেছেন, যাতে কর্মসূচির শুরুতেই তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের লাল গালিচা অভ্যর্থনা পেতে পারেন। বিনিয়োগের মাধ্যমে সরাসরি গ্রিনকার্ড এবং সিটিজেনশিপ প্রদানের এ কর্মসূচির সমন্বয় করবে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিশ্বের ৬০ দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থায়ী অভিবাসনের প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘হেনলি অ্যান্ড পার্টনার’র প্রধান নির্বাহী ডমিনিচ ভলেক গণমাধ্যমে বলেছেন, সিঙ্গাপুরস্থ ‘ইউএইচএনডব্লিউআই’ গত সপ্তাহে এ বিষয়ে একটি বিশেষ ওয়ার্কশপ করেছে। সে সময় অনেক ব্যবসায়ী নিজেদের কাগজপত্র সাবমিট করেছেন। এতে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশি এবং ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আছেন। এসব ব্যবসায়ীর অনেকে সিঙ্গাপুর এবং দুবাইয়ে ব্যবসা করছেন। তারা মার্কিন সিটিজেনশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেও তাদের ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটাতে আগ্রহী।
জানা যায়, ৮ লাখ ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে (যে ব্যবসায় অন্তত ১০ জনের কর্মসংস্থান হয়) যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড লাভের বিদ্যমান প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী ‘ইবিফাইভরিসোর্স ডট কম’-এর পরিচালক অশোক কুমার জানান, দুবাইয়ে বসবাসরত ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনেকে ইবি-৫ কর্মসূচিতে গ্রিনকার্ডের আবেদন করেছেন। কিন্তু এটি নানা জটিল শর্তে পরিপূর্ণ এবং দুই বছর অপেক্ষা করতে হয় গ্রিনকার্ড পেতে। তাই সেসব ব্যবসায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে ৫ মিলিয়ন ডলার রেডি রেখেছেন বিস্তারিত কর্মসূচি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে আবেদন সাবমিট করার জন্য। গোল্ডকার্ডে গোটা পরিবারকে গ্রিনকার্ড তথা সিটিজেনশিপ প্রদান করা না হলেও আপত্তি নেই এসব ব্যবসায়ী-বিনিয়োগকারীর।