থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৩৯ ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে হুইলচেয়ারে করে তাকে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হয়। তার মুখে মাস্ক, পরনে ছিল শার্ট ও লুঙ্গি। সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান। এর আগে ৮ মে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ছিল। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের হয়। তার দেশ ছাড়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় শুরু বয়ে যায়। রাষ্ট্রপতির নিজ জেলা কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার এবং উপপরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার দুজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশে ফেরার পরের দিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন? জবাবে তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট নেই, তাই গ্রেপ্তারের প্রশ্নই আসে না। তবে যদি কোনো অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গেলেন এবং এক্ষেত্রে কারও কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না, তা তদন্তের জন্য তিনজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে এ কমিটির সভাপতি করা হয়। অন্য দুই সদস্য হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।