জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহত যোদ্ধাদের যে কোন সহায়তায় পাশে থাকবে সরকার বলে জানিয়েছেন শিল্পসচিব ওবায়দুর রহমান।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহত যোদ্ধাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে এই আশ্বাস দেন তিনি। শিল্পসচিব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কারণেই আজ আমি সচিব হতে পেরেছি। তাই যে কোন প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকা আমার কর্তব্য।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম)-এ এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ‘আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস’ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল আকবর, এসএমই ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামসি আরা জামান।
তিন দিনের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস-এর বেসিক্স অব কালার, টাই অ্যান্ড ডাই টেকনিক্স, টি শার্ট পেইন্টিং, মধুবানি আর্ট, পটারি পেইন্টিং, রাশিয়ান পেইন্টিং, ফেব্রিক কালারসহ গ্লাস পেইন্টিং, জুট ব্যাগ ডিজাইন, আফ্রিকান আর্ট, স্টেনসিল ওয়ার্ক, জুয়েলারি মেকিং এবং এসব পণ্যের কাঁচামাল ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ২০২৪-এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহত যোদ্ধাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আরো দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশনের।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩০% শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫% এসএমই খাতে। এই খাতে তিন কোটিরও বেশি জনবল কর্মরত আছে। অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত