রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এই আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়।
আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ হলে সরাসরি তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রার্থী নিজে অথবা তার মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে তা নিতে পারবেন। মনোনয়ন দাখিলের সময় সর্বোচ্চ পাঁচজন সমর্থক থাকতে পারবেন, তবে মিছিল বা শোভাযাত্রা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সশরীরে রিটার্নিং অফিসারের কাছে হাজির হতে হবে।
নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার দিন থেকে ভোট গ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত, সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে। তবে শিক্ষা কার্যক্রমে যেন কোনোভাবেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রচারণায় শুধুমাত্র সাদা-কালো পোস্টার ব্যবহার করা যাবে। পোস্টারের আকার হবে সর্বোচ্চ ৬০ সেন্টিমিটার × ৪৫ সেন্টিমিটার। কোনো ভবনের দেয়ালে পোস্টার লাগানো যাবে না। কেউ কাউকে ভয়ভীতি দেখাতে বা বাধা দিতে পারবেন না। বহিরাগতরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।
নির্বাচন উপলক্ষে কোনো সভার আয়োজন করলে প্রক্টরের পূর্বানুমতি নিতে হবে। আবাসিক হলে বহিরাগতদের অবস্থান নিষিদ্ধ। মাইক ব্যবহার করা যাবে শুধু প্রার্থী পরিচিতি সভায়। ক্লাসরুম বা শিক্ষাভবনের ভেতরে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অশালীন, উসকানিমূলক কিংবা মানহানিকর বক্তব্য প্রদান নিষিদ্ধ।
হলভিত্তিক প্রচারণায় ছাত্রী হলে ছাত্র এবং ছাত্র হলে ছাত্রী প্রবেশ করতে পারবেন শুধুমাত্র রিটার্নিং অফিসারের অনুমতিসাপেক্ষে।
আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থিতা বাতিল ছাড়াও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের বিধান রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় আইনেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক