বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, দেশের ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ধাপে ধাপে ১৫ থেকে ২০টি ব্যাংক একীভূত (মার্জ) করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতির ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
গভর্নর বলেন, পদ্মা ব্যাংক বর্তমানে অচল। এটি আমাদের রাডারে আছে। এই ব্যাংকটিকে সচল করতে হবে। যদি প্রয়োজন হয়, একে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ করে দিতে হতে পারে।
তিনি জানান, আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী ধাপে ধাপে এগোতে হবে। প্রাথমিকভাবে ৫টি ব্যাংকের মার্জার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। যদি সফল হই, এরপর আরও ৫ বা ১০টি ব্যাংক নেওয়া হবে। একবারে সব করা সম্ভব নয়। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, মার্জারের মাধ্যমে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ হবে। এটি কোনো ‘মলম দেওয়ার’ কাজ নয়, হবে বড় ধরনের সার্জিক্যাল অপারেশন। মূলধন ভিত্তি শক্ত হবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে, আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরবে। আমরা আশাবাদী, এসব ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে এবং সরকারের বিনিয়োগ লাভসহ ফেরত আসবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ব্যাংক কিনতে যায়নি, জনস্বার্থে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে। ব্যাংকগুলোর ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রায় এক বছর সময় দেওয়া হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক ও ইউসিবি কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাই সেগুলোর বিষয়ে এখন হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। যারা বারবার সুযোগ পেয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, সেখানে হস্তক্ষেপ করা হবে। গভর্নর জানান, ব্যাংক খাতে সুশাসন আনতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের খসড়া সংশোধন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এটি শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। নতুন আইনে একজন পরিচালক টানা ছয় বছরের বেশি পর্ষদে থাকতে পারবেন না। একই পরিবার থেকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি পরিচালক থাকতে পারবে না। স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত প্যানেল থেকে।