জাতীয় বক্সিং নিয়ে কয়েক দিন ধরেই বেশ আলোচনা চলছিল। প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌস এবারের আসরে অংশ নিয়েই সাড়া ফেলে দেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করা এ নারী বক্সার এবার জাতীয় প্রতিযোগিতাতেও সোনার পদক জয় করলেন। গতকাল মেয়েদের ৫২ কেজি ওজন শ্রেণির ফাইনালে তিন রাউন্ডের সবকটিতেই আফরাকে হারিয়ে সেরা হন জিনাত ফেরদৌস।
বক্সিং স্টেডিয়ামের গ্যালারি দর্শকে পরিপূর্ণ। জিনাত ফেরদৌসের লড়াই দেখতে হাজির সবাই। দর্শকসারিতে ছিলেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোমেসি কাউন্সিলর স্টিফেন আইবেলি। আফরার বোন ফুটবলার আফিদা খন্দকার এবং তাদের বাবা-মাও হাজির খেলা দেখতে। তবে বোনের খেলা দেখে আফসোসই হয়েছে হয়তো আফিদার! বারবার বোন আফরাকে উৎসাহ দিলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়েই রিং ছেড়েছেন আফরা। খেলা শেষে আফরা খন্দকার বলেন, ‘হেরেছি এতে কোনো আক্ষেপ নেই। আমি চেয়েছিলাম যাতে খেলাটি তিন রাউন্ড পর্যন্ত যায়। আলহামদুলিল্লাহ তিন রাউন্ড খেলেই এসেছি।’ আরও বিশেষায়িত অনুশীলনের আর্জি জানিয়ে আফরা বলেন, ‘জিনাত বিদেশে অনুশীলন করে। তার অনুশীলন সুবিধা অনেক ভালো। আমরা যদি ওরকম ভালো সুযোগ-সুবিধা পাই, আমরাও ওদের মতো ভালো করব।’ নিজের খেলা সম্পর্কে আফরার কথা, ‘জিনাত আক্রমণাত্মক খেলেছে। আমি প্রথম থেকেই রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছি। কারণ আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, ম্যাচটি তিন রাউন্ড পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া।’ তবে পরেরবার খেলা হলে জিনাতকে হারানোর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন আফরা। বাংলাদেশের বক্সারদের আরও টেকনিক রপ্ত করার পরামর্শ দিয়ে জিনাত ফেরদৌস বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশি ছেলে এবং মেয়ে যারা আছে, সত্যিকার অর্থেই ওরা ভালো খেলতে চায়। ওরা রিংয়ে খেলা ছেড়ে দিতে চায় না। আরেকটু টেকনিক যদি রপ্ত করতে পারে, তাহলে অনেক ভালো করবে।’ প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে এসে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন তিনি। ‘যেভাবে সবাই আমাদের বক্সিংকে সমর্থন করছে, এটা আমার কাছে অনেক বড় জিনিস। খুব ভালো লাগছে। অনেকেই আসছে। কত মানুষ সাপোর্ট করছে। আমি এটা প্রথমবার খেললাম, তবে এটাই শেষ নয়।’