একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানি ১৩ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি শেষে এ মুলতবির আদেশ দেন। গতকাল রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এ ছাড়া অন্যান্য আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
এর আগে গত ১৭ জুলাই আপিল শুনানি শুরু হয়। সেদিন পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহানকে নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দলটির ২৪ নেতা-কর্মী নিহত হয়। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত দুটি মামলার রায় একসঙ্গে দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন আদালত। রায়ের পর মামলার সব নথি পাঠানো হয় হাই কোর্টে। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিতরা পৃথক জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন। হাই কোর্টে নিষ্পত্তির পর এখন আপিল বিভাগে শুনানি চলছে। ডেথ রেফান্সে ও আপিল নিষ্পত্তি করে গত বছর ১ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন। পলাতক থাকায় আপিল না করলেও সব আসামি খালাস পাওয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও এ রায়ের সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। পরে ১ জুন লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।
