বাংলাদেশে পুশইন করা ৬৫ জনকে ভারত ফিরিয়ে নিল। এরা সবাই ভারতীয়। ২৩ মে আসাম বিএসএফ এদের বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল। আসামে এই নিয়ে প্রবল অসন্তোষ তৈরি হয়। এদের পরিবারের সদস্যরা আদালতের শরণাপন্ন হন।
পুলিশ ২৩ মে আসামের বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি করে ২০০ ব্যক্তিকে আটক করে তাদের ডিটেনশন শিবিরে নিয়ে যায়। অভিযোগ- এরা নাকি বাংলাদেশি নাগরিক। তারপর ২৭ মে রাতে বিএসএফ ১৪ জনের একটি দলকে আসামের দক্ষিণ সালমারা-মানকারচার জেলার থাকুরানবাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার রোয়ামারি গ্রামে পুশব্যাক করে। এদের মধ্যে এক শিশু ও পাঁচজন মহিলা রয়েছে। এই দলে ছিলেন স্থানীয় শিক্ষক খায়রুল ইসলাম। আসামের কংগ্রেসসহ বিরোধী দল প্রবল প্রতিবাদ করে। পরিবারের লোকেরা আদালতের শরণাপন্ন হন।
এই দলে দুজন ছিলেন যাদের ট্রাইব্যুনাল বিদেশি বলে চিহ্নিত করেছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে এরা গৌহাটি হাই কোর্টে মামলা করেন। সেই মামলা এখনো চলছে। হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় এসব ব্যক্তিরা কোথায়। ৪ জুনের মধ্যে সরকারকে জানাতে হবে। আরও একজন বৃদ্ধাকে বাংলাদেশি আখ্যা দেওয়া হয়। তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। আসামের বড়ো ল্যান্ড ছাত্র সংগঠন আসাম রাজ্য ও দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাদের অনেক কে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আসামে বিধানসভার বিরোধী নেতা দেবব্রত সৈকিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে চিঠি লিখে পুশব্যাক বন্ধ করার আপিল করেন। এরপর রাজ্য সরকারের পুলিশ পুশব্যাক করা নাগরিকদের ওই সীমান্ত দিয়েই ফিরিয়ে নিয়ে আসে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি অভয় গিকা ও উজ্জ্বল ভূঁইয়ান বিদেশিদের শনাক্ত করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামে সরকার সেই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে ভারতীয়দের ফেরত দিচ্ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট এও বলেছিল যাদের বিষয়ে মামলা চলছে তাদের শনাক্ত করে ফেরত দেওয়া যাবে না।