লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-এর সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, দেশের কোথাও শেখ পরিবারের নামফলক থাকার যৌক্তিকতা নেই। কারণ তারা দেশদ্রোহী। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার অধিকারও হারিয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবার বাংলাদেশে যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে তা বিরল। তারা গণহত্যাকারী দল। দ্রুত তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। গণহত্যাকারী ও দেশদ্রোহীদের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে হবে। গতকাল রাজধানীর মগবাজারের এলডিপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, কে কিউ সাকলায়েন, অধ্যাপক ওমর ফারুক, এলডিপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অলি আহমদ বলেন, অতীতে আমরা ১২৭টি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা জানি না, প্রধান উপদেষ্টা এগুলো দেখেছিলেন কি না, না দেখলে দেখার অনুরোধ করব। আমাদের পরামর্শ এলডিপি বা কোনো রাজনৈতিক দলের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নয়; বরং এসব জনগণের ভালোর জন্য। অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার গঠনের আট মাস পরে এখনো টাকায় মুজিবের ছবি কেন? মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো অবদান নেই। দেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে তাদের অনৈতিক সুবিধাগুলো অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
অলি আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার ‘পালিত খুনি বাহিনীর’ কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অভিযুক্ত ডিসি ওসিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের শাস্তি হচ্ছে না কেন? গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান পৃথক অস্তিত্ব বহন করে উল্লেখ করে এলডিপির সভাপতি বলেন, একাত্তর ও চব্বিশ দুটো এক জিনিস নয়। অনেকে দুটি প্রেক্ষাপটকে একীভূত করে বিবেচনা করছেন। কিন্তু এটা পাগলামির শামিল। দুই ইতিহাসের কোনোটিকে হেয়প্রতিপন্ন করার কোনো সুযোগ নেই।