২০৩০ সালের মধ্যে কোকাকোলার পণ্য থেকে প্রায় ৬০ কোটি ২০ লাখ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়বে বলে সতর্ক করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন ওশানা। গবেষকরা বলছেন, এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক ১ কোটি ৮০ লাখ তিমির পেট ভরিয়ে রাখতে সক্ষম, যা সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি। সম্প্রতি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে পরিবেশবাদী সংগঠনটি।
এদিকে সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকীতে প্রকাশিত ২০২৪ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, কোকাকোলা বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণকারী হিসাবে স্থান পেয়েছে, তারপর পেপসিকো, নেসলে, ড্যানোন এবং আল্ট্রিয়া। এতে বলা হয়, ৫৬টি কোম্পানি বিশ্বব্যাপী ৫০ শতাংশের বেশি প্লাস্টিক দূষণ করে আসছে। এর মধ্যে কোকাকোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী।
প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক বা প্লাস্টিকের গুঁড়ো ক্যান্সার, বন্ধ্যত্ব ও হৃদরোগের মতো গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ বলে বিভিন্ন গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে ওশানার গবেষণা কোকাকোলার সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে দায়িত্বহীনতার বিষয়টি সামনে এনেছে।
ওশানা কোকাকোলার ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের প্রকাশিত প্যাকেজিং ডেটা ও বিক্রয় প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ব্যবহার করে তাদের পরিসংখ্যানটি তৈরি করেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির প্লাস্টিক ব্যবহার ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৪ দশমিক ১৩ মিলিয়ন টন ছাড়িয়ে যাবে। ওশানার পলিসি পরিচালক ম্যাট লিটলজন বলেন, কোকাকোলা বিশ্বব্যাপী সর্ববৃহৎ পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। ফলে সমুদ্র ও পরিবেশের ওপর তাদের প্রভাবও বিশাল।
এ বিষয়ে কোকাকোলার এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, প্রতিষ্ঠানটি পুনর্ব্যবহৃত উপাদান ব্যবহারের পাশাপাশি সংগ্রহ ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করছে।