জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) তিন দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে যোগ দিতে ক্যাম্পাস থেকে ২৫টি চক্রাকার বাসে করে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরাও।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভাস্কর্য চত্বরের সামনে থেকে ২৫টি বাস কাকরাইল মোড়ের সামনে যমুনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২৫টি বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তারা যাচ্ছেন আন্দোলন স্থলে যোগ দিতে। যে সকল ছাত্রীরা হলে এবং আশপাশের মেসে থাকতেন তারা ক্যাম্পাসে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে যোগে আন্দোলনের উদ্দেশে বের হয়ে আসছেন।
এদিকে, নিজ ক্যাম্পাসের যৌক্তিক দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন সাবেক শিক্ষার্থীরাও। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন অনেক সাবেক শিক্ষার্থীরা। এছাড়া কেউ কেউ গতকাল রাতেই একাগ্রতা প্রকাশ করে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
জামালপুর থেকে আসা জবির সাবেক এক শিক্ষার্থী মুকুল হোসন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন,'জামালপুর টু যমুনা শুধুমাত্র কালকে যা হয়েছে সেজন্য যমুনা না যেয়ে থাকতে পারছি না। একজন সাবেক জবিয়ান হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আঘাত সহ্য করতে পারি না। আমি ১৩তম ব্যাচ'।
চট্টগ্রাম থেকে ছুটে আসা আরেক শিক্ষার্থী একরামুল হক এরফান বলেন, 'গতকাল দুপুরের দিকে যখন লাইভে দেখলাম আমার শিক্ষক, ভাইদের উপর পুলিশ হামলা চালাচ্ছে তখন আর ঘরে বসে থাকতে পারেনি। অফিস শেষ করে সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছি। ভোর ৪টায় ঢাকায় এসে পোঁছায়ছি। আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরাও যাবো না।'
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কেএম রাকিব বলেন, সারা দেশ থেকে আমাদের সাহস এবং শক্তি যোগাচ্ছে সাবেক জবিয়ানরা। অনেকেই শুধু ছুটে আসেননি তারা আমাদের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত