নগরায়ণ এবং নির্বিচার বৃৃক্ষনিধনের কারণে আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে পাখির আবাসস্থল। পাখির নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রংপুরের পীরগাছা উপজেলা প্রশাসন। তারা ১ হাজারের বেশি মাটির তৈরি পাখির বাসা তৈরি করে গাছে ঝুলিয়ে দিচ্ছে। সরকারি অর্থে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পীরগাছা উপজেলা চত্বর, সদর ইউনিয়ন পরিষদ এবং পীরগাছা সরকারি কলেজ চত্বরের বিভিন্ন গাছে এসব পাখির বাসা লাগানো হচ্ছে। এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। মঙ্গলবার দুপুরে পীরগাছা উপজেলা চত্বরে পাখির বাসা স্থাপনের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন। উপজেলা পরিষদের এডিপি ও রাজস্ব খাতের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন মোড়ে থাকা গাছে ১ হাজার পাখির বাসা স্থাপন করা হবে। এ সময় উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একরামুল হক ম ল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সানোয়ার মোর্শেদ, উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদা ইয়াসমিন শীলা, পীরগাছা থানার ওসি তদন্ত নাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকৃতিপ্রেমী, কবি, লেখক ও ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার রানা মাসুদ বলেন, ‘পাখির নিরাপদ আশ্রয় গাছপালা। অবাধে বৃক্ষ নিধন হওয়ায় পাখির আবাসস্থল আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এ ছাড়া খাবার সংকটও রয়েছে। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাকে সাধুবাদ জানাই। তবে বাসা স্থাপনের পাশাপাশি পাখির খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টিও দেখতে হবে। কারণ মানুষ এখন বড় বড় ফলের গাছ কম লাগায়। পাখির অন্যতম খাবার ফল। এ ছাড়া পাখিনিধন বন্ধে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। গাছপালায় প্রকৃতি যেন ভরে ওঠে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে এ উদ্যোগ ব্যর্থ হতে পারে।’ উদ্বোধনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেন, ‘প্রকৃতি রক্ষা এবং পাখির উপযুক্ত বাসস্থান তৈরির জন্য আমরা এ প্রকল্প নিয়েছি। পাখিরা যেন তাদের অভয়াশ্রম মনে করে বাসাগুলোয় বসবাস করতে পারে।’