ভিকি কৌশল ও রাশমিকা মান্দানা অভিনীত ‘ছাবা’ মুক্তির পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক দিনেই ৫০০ কোটির বেশি ব্যবসা করা এই সিনেমা দর্শকদের মনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তবে এই প্রভাব যে বাস্তব জীবনেও বড় রকমের ঘটনা ঘটাবে, তা হয়তো কেউ ভাবেনি। এই সিনেমা দেখে গুপ্তধনের সন্ধানে রাতভর মাটি খোঁড়ার কাণ্ড ঘটিয়েছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের একদল গ্রামবাসী!
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলার আসিরগড় দুর্গ এলাকায় একদল গ্রামবাসী টর্চ, শাবল ও কোদাল নিয়ে গভীর রাতে মাটি খুঁড়তে বের হন। তাদের বিশ্বাস, সেখানে মুঘল আমলের গুপ্তধন লুকিয়ে থাকতে পারে।
অনেকে দাবি করেছেন, সেই এলাকায় কেউ কেউ স্বর্ণমুদ্রা দেখতে পেয়েছেন, আর তাই আরও মানুষ সেখানে গুপ্তধনের আশায় ছুটে যান। তবে মূল কারণ সিনেমার প্রভাব, কারণ ‘ছাবা’ সিনেমায় বুরহানপুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেখানে মুঘলদের অবস্থান দেখানো হয়েছে। এই সিনেমা দেখে অনেকের ধারণা জন্মেছে, সত্যিই বুরহানপুরের কোথাও মুঘলদের গুপ্তধন লুকিয়ে আছে।
জানা গেছে, আসিরগড় দুর্গের চারপাশে গ্রামবাসীরা একটানা মাটি খুঁড়তে থাকেন এবং মেটাল ডিটেক্টর দিয়েও পরীক্ষা চালান। এতে সেই অঞ্চলের জমির মালিকরা মারাত্মক ক্ষুব্ধ হন এবং প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায়, সেখানে খোঁড়াখুঁড়ির কোনো সরাসরি প্রমাণ নেই, তবে জায়গাটি নষ্ট করা হয়েছে। পরে পুলিশের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং খনন কার্যক্রম বন্ধ করতে বলা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
পিটিআই-এর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, গ্রামবাসীরা শাবল-কোদাল হাতে দুর্গের আশপাশে মাটি খুঁড়ছেন, সঙ্গে আনা হয়েছে মেটাল ডিটেক্টরও। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
বুরহানপুরের এই ‘গুপ্তধন অভিযান’ বর্তমানে চর্চার শীর্ষে রয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, সেখানে কোনো গুপ্তধন থাকার সম্ভাবনা নেই এবং এটি শুধুই একটি ভিত্তিহীন গুজব।
বিডি প্রতিদিন/আশিক