রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু মিয়ানমারের বৃহত্তর সংস্কারের ওপর ফেলে রাখলে চলবে না। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত স্বদেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমার ও আরাকান আর্মির ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। দেশে ফিরতে রোহিঙ্গাদের অনির্ধারিত অপেক্ষায় রাখতে পারে না বিশ্বসমাজ। এ ব্যাপারে এখনই সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়ন বিশ্বনেতাদের কর্তব্য। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও অন্য সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের সভাপতি, জার্মান কূটনীতিক আনালিনা বায়েরবকের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী সম্মেলনে জাতিসংঘের সদস্য দেশ, বিভিন্ন সংস্থা, এনজিও এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিসহ ৬৩ জন বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক, শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডিও ছিলেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্য পড়ে শোনান তাঁর প্রতিনিধি। সে বক্তব্যে অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমার সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন-সহিংসতা চালাচ্ছে। গত ১৮ মাসেও দেড় লক্ষাধিক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ উদারতা দেখিয়ে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। এখন ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার ন্যূনতম খাদ্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে নাজেহাল বাংলাদেশ। ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে আইনশৃঙ্খলাসহ প্রকৃতি ও পরিবেশের। রোহিঙ্গাসংকট উত্তরণে, তিনটি সমাধানসূত্র দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। মিয়ানমারে মানবিক সহায়তা যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে এবং জোরালো মানবিক সহায়তা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য অধিক বিনিয়োগ আবশ্যক। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এ সমাধানসূত্র বলা চলে সর্বোচ্চ সুচিন্তিত বিবেচনা। পাশাপাশি ড. ইউনূস পেশ করেছেন সাত দফা প্রস্তাব। তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পথনকশা তৈরি, আরাকান আর্মির ওপর চাপ সৃষ্টি, রাখাইনে স্থিতিশীলতা ফেরাতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ, যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনায় দাতাদের প্রতিশ্রুত অর্থের পুরোটা নিশ্চিত করা এবং মাদক-অর্থনীতি ধ্বংস ও আন্তসীমান্ত অপরাধ দমন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।। বিশ্বমঞ্চে এ যাবৎকালের উচ্চপর্যায় ও বড় পরিসরে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এ আলোচনা দেশের জন্য ইতিবাচক। সম্মেলনে বিদগ্ধ বিশিষ্টজনদের সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা দ্রুত স্বদেশে ফেরার নিরাপদ পথ ও পরিবেশ খুঁজে পাক। সেটাই মানবিক এবং বাংলাদেশের জন্য স্বস্তিদায়ক।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে