মন্দ মানুষের হালহকিকত এবং পরিণতি জানার আগে আপনার অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত মন্দ লোক কারা এবং আপনি নিজে কোন প্রকৃতির মানুষ। আপনি যদি নিজেকে চিনতে না পারেন, তবে আপনার পক্ষে নির্ভুলভাবে ভালো কিংবা মন্দ মানুষ চেনা একেবারেই অসম্ভব। এ কারণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিরা মানবমণ্ডলীকে সবার আগে নিজের প্রতি, নিজের কর্ম, পরিবার-পরিজন এবং আশপাশের পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রতি নজর দিতে বলেছেন। মহামতি সক্রেটিস বলেছেন, নিজেকে চেনো। কনফুসিয়াস বলেছেন, অন্যের বাড়ির দরজায় বরফ জমেছে সেটা পরিষ্কার করতে যাওয়ার আগে নিজের দরজার সামনে পড়ে থাকা খড়কুটোটি সরিয়ে ফেল।
আপনি যদি সক্রেটিস মহোদয়কে ২০২৫ সালে কাছে পেতেন এবং জিজ্ঞাসার সুরে বলতেন মহাত্মন! আমি তো নিজেকে জানতে চাই। কিন্তু কী রূপে জানব! নিজের কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে জানার কাজটি শুরু করব। আমি কি আমার চেহারাসুরত, বংশমর্যাদা এবং শিক্ষাদীক্ষার ভিত্তিতে নিজেকে মূল্যায়ন করব নাকি আমার কাজকর্ম, চিন্তাচেতনা, পোশাকপরিচ্ছদ, আহার-বিহার, রাগ-অনুরাগ ইত্যাদির নিরিখে নিজেকে মূল্যায়ন করব। অথবা আপনি হয়তো ভালোমন্দ নিরূপণ এবং নিজেকে জানার মানদণ্ড সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারতেন। আপনার প্রশ্ন শুনে মহামতি সক্রেটিস কী জবাব দিতেন, তা আমি বলতে পারব না। তবে আপনি যদি প্রশ্নটি আমাকে করেন তবে আমি আপনাকে হজরত আলী (রা.)-এর একটি অমিয়বাণী পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানাব।
হজরত আলী (রা.) বলেছেন, তোমার হৃদয়টি কেমন অর্থাৎ তুমি কেমন মানুষ তা বোঝার জন্য তুমি যা কর তা নয় বরং তোমার মন যা করতে চায় সেদিকে লক্ষ কর। হজরত আলী (রা.)-এর বক্তব্যটি পর্যালোচনা করলে নিজেকে চেনার একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করা সম্ভব। আমাদের সমাজে আমরা সাধারণত মানুষের কাজকর্ম দেখেই লোকটি সম্পর্কে ভালো কিংবা মন্দ সার্টিফিকেট দিয়ে দিই। কিন্তু আমরা একবারও ভাবি না যে একজন ভালো মানুষ যেমন মন্দ কাজ করতে পারে, তেমনি মন্দ প্রকৃতির মানুষও অহরহ ভালো কাজ করে বেড়ায়। মূলত পরিবেশের চাপ এবং নিজের লাভক্ষতি ও স্বার্থ দ্বারা তাড়িত হয়ে মানুষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। নীতি, আদর্শ ও বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে অনবরত কাজ করতে পারে এমন মানুষের সংখ্যা দুনিয়াতে বিরল। অনেকে ভালো কাজ করে নেহাত লোক দেখানোর জন্য। অনেকে করে খ্যাতি, যশ ও সম্মান লাভের জন্য। অনেকে করে অমরত্ব লাভ এবং পুণ্য অর্জনের জন্য। কেউবা করে থাকে অনুরোধের ঢেঁকি গেলার প্রবাদের ফাঁদে পড়ে।
মানুষের মন্দ কাজেরও নানা ফিরিস্তি রয়েছে। মন্দ উদ্দেশ্য সাধন, অন্যের অনিষ্ঠ এবং বিধাতার নাফরমানির মাধ্যমে নিজের মন্দত্ব জাহির করার জন্য মন্দ কাজ করে বেড়ায় এমন লোকের সংখ্যা খুব অল্প। বেশির ভাগ লোক মন্দ কাজ করে নিজের স্বার্থটিকে খুব সহজে হাসিল করার জন্য। কেউ করে লাভের জন্য, অনেকে করে লোভের জন্য। অন্যকে ভয় দেখানো অথবা নিজের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্যও অনেকে মন্দ কাজ করে থাকে। পরিস্থিতির ফাঁদে পড়ে অথবা অজ্ঞতাবশত কিংবা নেহাত সঙ্গদোষের কারণে মন্দ কর্মকারীর সংখ্যাও একেবারে কম নয়। কাজেই মন্দ কাজের জন্য একতরফাভাবে কাউকে মন্দ লোক বিবেচনা করা প্রায়ই ভুল বলে বিবেচিত হয়।
এবার কর্ম বাদ দিয়ে মন নিয়ে কিছু বলা যাক। মানুষের মন একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ এবং দুনিয়ার সবচেয়ে জটিল একটি বিষয়। খুব বেশি মেধাবী, জ্ঞানী এবং আল্লাহর বিশেষ হেদায়েতপ্রাপ্ত বান্দা না হলে মনের যন্ত্রণা থেকে কেউ রক্ষা পায় না। মনকে বশে রাখতে না পারলে মানুষের জীবনে যে সর্বনাশ ঘটে তার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা চলে না। মানুষের মন, মানুষের আত্মা এবং নফস নিয়ে সেই আদিকাল থেকে গবেষণা চলে আসছে। কেউ কেউ বলছেন মন, আত্মা এবং নফস মূলত একই জিনিস। অনেকে বলছেন, ওগুলো সব আলাদা বিষয় এবং প্রত্যেকটিরই রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনকরা সারা জীবন তন্ন তন্ন করে মানবদেহের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সর্বত্র মন খুঁজে বেড়িয়ে শেষ অবদি কোনো কূলকিনারা করতে পারেননি। কবি-সাহিত্যিক এবং মরমী সাধকরা বলেছেন, মন হলো বুকের ভিতরে ঠিক যেন কলিজাটার মধ্যিখানে! মনের অবস্থান সম্পর্কে আমরা কেউ কিছু বলতে না পারলেও মনোবিজ্ঞানীরা কিন্তু পুরো মানব শরীরের প্রতিটি ইঞ্চি স্থানকে মন বলে আখ্যা দিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, মানুষের মনের ব্যাপ্তি কেবল দেহের মধ্যে সীমিত নয়, তার দৃষ্টি, তার ঘ্রাণশক্তি, তার অনুভূতি এবং তার চিন্তার সর্বশেষ সীমানা পর্যন্ত মনের বিস্তৃতি বিদ্যমান। মনের কোনো কাল নেই। অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ-এই তিনকালেই মন সমানতালে কর্মক্ষম। পৃথিবীতে মানুষের মস্তিষ্কজাত কর্মের তুলনায় মনের মাধুরী মিশ্রিত কর্মাদি অমরত্ব পেয়েছে। কবির কবিতা, শিল্পীর শিল্পকর্ম, চিন্তাশীল ব্যক্তিদের কল্পনা এবং সাধকের মনের দুর্বার গতির কারণে চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, আকাশ-পাতাল, পাহাড়-সমুদ্র জয় করা মানুষের জন্য সহজতর হয়েছে। প্রেমের ক্ষেত্রেও মনের জয়জয়কারের সঙ্গে কর্ম বারবার মার খায়। প্রেমিকার জন্য প্রাসাদ নির্মাণের তুলনায় তাকে চাঁদের আলো, রংধনুর রং, সমুদ্রের ঢেউ ইত্যাদির স্বপ্ন-সংবলিত একখানি কবিতা রচনা করে দিলে কিংবা সুন্দরতম কথামালার সমন্বয়ে একখানি সুমধুর গানের সুর উপহার দিয়ে কি পরিমাণ ফল পাওয়া যায় তা কেবল প্রেমাস্পদই বলতে পারবেন।
ভালো মন আথবা মন্দ মনের ওপরই ব্যক্তির ভালো-মন্দ নির্ভর করে। মন কীভাবে ভালো হয় কিংবা কীভাবে মন্দ হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে আমরা আজকের প্রসঙ্গে সরাসরি ঢুকে পড়তে চাই। মন্দ মনের অধিকারী লোকজন যত ভালো কাজই করুন না কেন শেষ অবধি সেসব কাজের পরিণতি ভালো হয় না। নানা দুর্ভোগ-দুর্দশা, বিয়োগান্ত ঘটনা এবং প্রকৃতির অভিশাপে মন্দ ব্যক্তির দেহ-মন এবং মস্তিষ্ক এক অদ্ভুত উপায়ে পরিচালিত হতে থাকে। আপনি যদি একটু সতর্ক দৃষ্টি নিয়ে আপনার আশপাশে তাকান তবে লোকজনের হালহকিকত দেখে সহজেই বুঝতে পারবেন লোকগুলোর আসল চরিত্র।
মন্দ লোকের দুটি অদ্ভুত স্বভাব দেখে আপনি ইচ্ছা করলে তাদের সংসর্গ থেকে দূরে থাকতে পারেন। তারা কথায় কথায় মিথ্যাচার করে এবং আপনি তা ধরিয়ে দেওয়ার পর তারা একটুও লজ্জিত না হয়ে বরং তাদের মিথ্যাগুলোকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মানসে নির্বিচারে হাজারো মিথ্যা বলা শুরু করে দেয়। আপনি যদি এরপরও বিশ্বাস না করেন অথবা মিথ্যার বেসাতির সঙ্গে তাল না মেলান তবে তারা প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে আপনার ওপর শক্তি প্রয়োগেও দ্বিধা করে না। মিথ্যাবাদীদের বেশ কয়েকটি স্তর এবং অনুরূপ শ্রেণি রয়েছে। আপনার জন্য সেসব মন্দ লোক সবচেয়ে ভয়ংকর যারা শাসনক্ষমতায় থেকে মিথ্যা বলে এবং যারা আপনার বিশ্বাস ভালোবাসা ও আস্থার সঙ্গে বেইমানি করে আপনার সঙ্গে মিথ্যাচার করে। আপনি এই দুই শ্রেণির লোকজন থেকে যতটা দূরত্বে থাকতে পারবেন ততই তা নিজের জন্য মঙ্গল বলে বিবেচিত হবে।
মন্দ লোকের পরবর্তী দুটি অদ্ভুত স্বভাবের নাম হলো কৃপণতা এবং অপব্যয়। কৃপণ ব্যক্তিকে দুনিয়ার কেউ কোনো দিন ভালো মানুষ হিসেবে আখ্যা দেয়নি। অন্যদিকে অপব্যয়কারীকে বলা হয়েছে শয়তানের ভাই। কৃপণতা এবং অপব্যয় উভয় স্বভাবের মানুষই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসে। রাজা-বাদশাদের কৃপণতা অথবা অপব্যয়ের কারণে কত রাজ্য, শহর-বন্দর এবং সভ্যতা যে ধ্বংসের করাল গ্রাসে পড়েছিল তার সঠিক হিসাব কেউ দিতে পারবে না। কৃপণ ব্যক্তির সংস্পর্শ আপনাকে যেমন শেষ করে দিতে পারে তদ্রুপ অপব্যয়ীর পাল্লায় পড়ে জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরের আজাব ভোগ থেকে আপনি যে বঞ্চিত হবেন না তা নিশ্চিত করে বলা যায়।
অতিরিক্ত এবং অহেতুক উল্লাস এবং বিষণ্নতা মন্দ লোকের আরও এক জোড়া বৈশিষ্ট্য। তারা সামান্য সুযোগ পেলে আনন্দ-উল্লাস এবং উৎসবের বন্যা বইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আশপাশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষুধা-দারিদ্র্য অথবা অভাব-অভিযোগ তাদের ব্যথিত করে না। বরং মানুষের কষ্টকে অনেকটা আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো ঘটনা বিবেচনা করে মন্দ লোকেরা তাদের বীভৎস উল্লাসকে নারকীয় উৎসবে পরিণত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে। মানুষের মাথার খুলির ওপর সিংহাসন পেতে উল্লাস প্রকাশ অথবা মনুষ্য রক্তে বড় বড় নদীর পানি রাঙিয়ে দিয়ে সেই পানিতে বজরা ভাসিয়ে বাইজীর নৃত্যগীত শুনেছে এমন মন্দ লোকের অভাব ইতিহাসে নেই। মন্দ লোকের বিষণ্নতা ও তাদের উল্লাসের মতো সমাজ-সংসারকে কম ভোগায়নি। সারা দিন সারাক্ষণ মুখ ভার করে থাকা বিষণ্ন মনের মন্দ মানুষ দুনিয়ার যে সর্বনাশ করতে পেরেছে তা অন্য কেউ করতে পারেনি। রোমান সম্রাট নিরো, হিটলার এবং জোসেফ স্টালিন এই শ্রেণির মানুষের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
অত্যাচার এবং অবিচার হলো মন্দ লোকের অন্যতম প্রধান হালহকিকত। অত্যাচার ছাড়া মন্দত্বের পূর্ণতা অর্জিত হয় না। অন্যদিকে অবিচার ছাড়া মন্দ কর্ম বিকশিত হয় না। অত্যাচার এবং অবিচারের কারণে সমাজ-সংসার এবং রাষ্ট্রে যে হাহাকার সৃষ্টি হয় তা একদিকে যেমন মন্দ লোকের প্রধান বিনোদনের বিষয়বস্তু অন্যদিকে জমিনে খোদায়ী গজবের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। অত্যাচার এবং অবিচারকে বর্ণাঢ্য করার জন্য মন্দ লোকেরা বাহারি অনাচার এবং নির্লজ্জ ব্যভিচার শুরু করে দেয়। তাদের এসব কর্মের কারণে সমাজ থেকে নির্মল আনন্দ, বিনোদন এবং সুখ-শান্তি তিরোহিত হয়ে যায়। একধরনের অনাহূত ভয়, আতঙ্ক, অবিশ্বাস এবং অশ্রদ্ধার মনোভাব প্রতিটি মানুষকে পেয়ে বসে। সমাজের অগ্রযাত্রা স্তম্ভিত হয়ে যায়। সবাই মিলে অধীর হয়ে মহাসর্বনাশের শঙ্কায় দিন পার করতে থাকে।
ভণ্ডামি এবং মোনাফেকির মাধ্যমে মন্দ লোকেরা সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে একধরনের নারকীয় উল্লাসে মেতে ওঠে। তারা প্রায়ই সাধুবেশে এসে রাক্ষসী মূর্তি ধারণ করে। তাদের মোনাফেকির দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে সাধারণ মানুষ নিজেদের শ্রেষ্ঠতম আমানত এবং আপন জীবন তাদের কাছে সমর্পণ করে। তারা সেগুলো নিয়ে যত দিন ইচ্ছা তত দিন ক্রীড়া কৌতুক করে। তারপর একসময় প্রচণ্ড নিষ্ঠুরতা এবং অমানবিকতা দ্বারা নিজেদের মোনাফেকির স্বাদ আমানতকারী অথবা জীবন সমর্পণকারীকে হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দেয়।
মন্দ মানুষের আরও এক জোড়া হালহকিকতের ফিরিস্তি দিয়ে উপসংহারে চলে যাব। অকৃতজ্ঞতা এবং অবাধ্যতা দ্বারা মন্দ মানুষের মনমানসিকতা এবং জীবন-জীবিকা তছনছ করে দেয়। তারা যে শুধু মানুষের সঙ্গে অকৃতজ্ঞতা বা অবাধ্যতা প্রদর্শন করে তা নয়, তারা তামাম মাখলুকাতের সঙ্গে একই আচরণ করার পর আসমানের মালিকের সঙ্গে অবাধ্যতা বা নাফরমানি শুরু করে। তাদের কুকর্মের কারণে পরিবার ও সমাজের বন্ধন নষ্ট হয়ে যায়। তাদের কারণে শুরু হয়ে যায় নিত্যনতুন ফেতনা-ফ্যাসাদ এবং দ্বন্দ্ব বিবাদ।
মন্দ মানুষের পরিণতি নিয়ে মানবজাতির ইতিহাসে লাখো-কোটি উপাখ্যান রচিত হয়েছে। কিছু কিছু পরিণতিকে কিংবদন্তির উদাহরণ বানিয়ে মানবজাতি যেমন হাজার হাজার বছর ধরে সংরক্ষণ করে আসছে তেমনি স্বয়ং আল্লাহ কিছু মন্দ মানুষকে তাঁর বান্দাদের শিক্ষার জন্য জমিনে উদাহরণ হিসেবে সংরক্ষণ করেছেন। মন্দ মানুষের মন্দ পরিণতির লাখো-কোটি করুণ কাহিনি সেই অনাদিকাল থেকে আজ অবধি চলে এসেছে। এসব কাহিনির মূল কথা হলো, মন্দ লোকের জীবনে কোনো দিন ভালো কিছু হয়নি এবং কেয়ামত পর্যন্ত হবেও না। মন্দ লোক দৃশ্যত যতই উল্লম্ফন করুন না কেন অথবা যতই উল্লাসনৃত্য করুন না কেন-বাস্তব জীবনে তাদের অন্তরে জ্বলতে থাকে জাহান্নামের আগুন।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক