ছোট্ট বন্ধুরা, আজ গল্পে গল্পে জেনে নেব ছোট্ট একটা প্রাণীর জীবন সংগ্রামের কথা। তাদের জীববৈচিত্র্য। বেঁচে থাকার কৌশল। আমি পিঁপড়ের কথা বলছি। পুঁচকে পিঁপড়ের কথা। বর্ষায় যখন মাঠঘাট ডুবে যায়, চারদিকে জল থইথই করে তখন পিঁপড়েদের আবাসস্থলও প্লাবিত হয়। পিঁপড়েগুলো তখন তাদের পা এবং চোয়াল ব্যবহার করে শক্তিশালী জলরোধী ভেলা তৈরি করে। এটি কলা গাছের মতো পানির ওপর ভাসতে থাকে। ঢেউয়ের ওপর দুলতে থাকে। পিঁপড়েদের নিজেদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া থাকে। এভাবে তারা উঁচু ভূমি বা নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে এটি নিয়ে যায়। পিঁপড়েরা খুব পরিশ্রমী। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও থাকে সুন্দর পরিকল্পনা। আগামী দিনের জন্য এরা খাবার সংগ্রহ করে রাখে। সুশৃঙ্খল ও দলগতভাবে চলাফেরা করে। এ ছাড়াও, পিঁপড়েরা তাদের মাথার অ্যান্টেনা ব্যবহার করে একে-অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এদের তীব্র ঘ্রাণ শক্তি থাকে। ঘ্রাণ শক্তির সাহায্যে তারা নিকটবর্তী এবং দূরবর্তী খাবারের সন্ধান করে। তবে এদের মধ্যে অসাধারণ একটি ক্ষমতা রয়েছে তা হলো- তারা তাদের দেহের ওজনের চেয়ে বেশি ওজনের জিনিস বহন করতে পারে। তাদের এই জীববৈচিত্র্যতা থেকে আমরাও অনেক কিছু শিখতে পারি।