বিকেলের রোদ গল্পের মতো- নরম, মিষ্টি, আর হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া। প্রতিদিনের রোদ ছোট ছোট গল্প খুঁজে আনে মায়াবী বিকেলে। সারার সবচেয়ে প্রিয় সময় রোদেলা বিকেল। আর বিকেল হলো কতো কতো খেলায় সময় কেটে যায় ছোট্ট সারার। ফড়িং ধরা, ফড়িং দৌড়, কুতকুত আরও কতো খেলা।
আজো বিকেল নামলো নন্দিরগাঁও। পাখির ডাক আর বাতাসের শব্দ ভাঙছে গ্রামের নীরবতা- সারা যখন ঘুম থেকে উঠলো। বিকেলের লাল আলো এসে তখন সারাদের উঠোনের কার্নিশে পড়ে আছে। এই আলো একটু পরেই মিশে যাবে পশ্চিমের আকাশে।
সারা চোখ মুছতে মুছতে কায়দা হাতে নিয়ে মক্তবের দিকে যাচ্ছে। সারার এমন কাণ্ড দেখে সবাই চুপচাপ হাসছে। কেউ কিছু বলছে না। প্রতিদিন সকালের মতো আজ বিকেলেও সারা মক্তবে যাচ্ছে। তবে যাওয়ার পথে হঠাৎ সারা খেয়াল করলো- প্রতিদিন বিকেলে যে ফড়িংয়ের সাথে সারা উঠোন দৌড়োয়। ওই ফড়িংটা বসে আছে কলপাড়ের মেহেদি গাছের ডালে।
সারা এক পলকে তাকিয়ে আছে ফড়িংয়ের দিকে। বিকেলের ফড়িং এখন কেনো। সারার দাঁড়িয়ে যাওয়া দেখে সবাই হো হো হো হেসে উঠলো। তখন সারার সব মনে পড়ে গেলো। সারা দুপুরে ভাত খেয়ে ওর মার সাথে ঘুমিয়ে ছিলো। জাগলো একটু আগে তারমানে এখন বিকেল। সারা সবার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বললো এখন সকাল না বিকেল। প্রতিদিনের মতো সারা ফড়িংয়ের সাথে খেলতে লাগলো।