বন মোরগের ছানার গল্প জানবে?
নদীর ধারে ছোট্ট সবুজ বন
গাছপালা আর ঝোপঝাড়েতে ঠাসা
সেই বনেতে হরেক পশুপাখি
আর ছিল এক বন মোরগের বাসা।
সেই বন মোরগের বাসায় বাস করত বাবার সঙ্গে বন মোরগ আর তার দুই ছানা। ছানা দুটির মা ছিল না। ছানাদের চোখ ফোটার আগেই তাদের মাকে খেয়ে ফেলে শেয়াল। তো বাবার দেখাশোনায় বড় হচ্ছে তারা। যখন বাচ্চাদুটো একটু বড় হলো, উড়াল দেওয়া শিখল, বাবা পড়লেন মহাচিন্তায়। কীভাবে তিনি বাচ্চাদুটোকে রক্ষা করবেন? এখন তো ঘর থেকে ছানা দুটোকে বের করতেই হবে।
মোরগটা তাই দুই ছানাকে বলে
‘দূরে কোথাও যাওয়া তোদের বারণ’
ছানারা কয়, ‘সমস্যা কী বাবা?
বলতে হবে এই নিষেধেরে কারণ।’
এভাবেই ছড়ায় ছড়ায় আমরা জেনে যাই সন্তানদের সঙ্গে বাবার ঘর থেকে বের হওয়ার বারণের কথোপকথন। বারণের কারণ জানতে চাইলে তাদের মাকে খেয়ে ফেলার কথা জানিয়ে সচেতন করে বন মোরগ। সঙ্গে আরও সচেতন করে এই বলে...
শেয়াল ছাড়াও শত্রু আছে আরও
এ জঙ্গলে বেজিরও নেই অভাব
কিছু কিছু মন্দ মানুষ আছে
পাখি শিকার করা যাদের স্বভাব।
ছড়ায় ছড়ায় বেজি-পাখিশিকারি মানুষের কথাও জানিয়ে দেয় বাবা। জানিয়ে দেয় গুইসাপের কথাও। যারা এই দুটি ছানার শত্রু। এদের থেকে সাবধান করে বাবা তাদের ঘর থেকে বের হতে দেন। সেই সঙ্গে এও বলেন যে, যদি কেউ বিপদে পড়ে আরেকটি ভাই যেন পাশে থাকে। জীবনে যত বড় বিপদই আসুক না কেন দুই ভাই মিলে মোকাবিলা করলে কোনো বিপদই আর বিপদ থাকে না। তো সেই অনুযায়ী মিলেমিশে হেসেখেলে দিন কেটে যায় তাদের। এরই মাঝে বাবার নিষেধের কথা ভুলে যায় তারা।
এক শিকারি পাখি ধরার ফাঁদ
পেতেছিল, পায়নি তারা টেরও
ঘাসের ফাঁকে চিকন সুতার ফাঁস
হাঁটতে গেলেই লাগবে পায়ে গেরো।
তো সেই ফাঁদে আটকে পড়ে বন মোরগের এক ছানা কী রেহায় পেয়েছিল? বিপদে তার আরেক ভাই তার পাশে কি দাঁড়িয়েছিল? এসব কিছু তুমি জানতে পারবে ‘বন মোরগের ছানা’ বইটিতে। ছড়াকার মাহবুবুল আলম কবীরের লেখা আর চিত্রশিল্পী মামুন হোসাইনের চমৎকার আঁকা বইটিতে তোমাদের জন্য আছে এই বন মোরগদের কাহিনি। ও হো... বইটি তোমরা কোথায় পাবে? চিন্তায় পড়ে গেলে? পাঞ্জেরী পাবলিকশন্স লি. থেকে খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারবে মজার এই বই। আর দেরি কেন!
লেখা : জোহরা শিউলী