গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে যাত্রা শুরু করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় বাধা দিয়েছে ইসরায়েল। এ সময় দেশটি অন্তত ২০টি নৌযান আটক করে এবং গ্রেটা থুনবার্গসহ ২২৩ জন ফিলিস্তিনপন্থী আন্তর্জাতিক কর্মীকে আটক করে। আটককৃতদের ইউরোপে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে তেল আবিব।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে—গাজামুখী ত্রাণবাহী বহরে থাকা কর্মীদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে। ভূমধ্যসাগরে একের পর এক নৌযান আটক করার পর এই ঘোষণা আসে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘নিজ নিজ ইয়টে থাকা যাত্রীরা নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণভাবে ইসরায়েলে পৌঁছাচ্ছেন। সেখান থেকেই তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন এবং সুস্থ আছেন।’ এ সময় গ্রেটা থুনবার্গসহ আটক কর্মীদের ছবি প্রকাশ করা হয়।
সংগঠকদের দাবি, ফ্লোটিলার অন্তত ২২৩ জন কর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা এক্সে জানিয়েছে, বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫টি নৌযান আক্রমণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আরও আটটি নৌযান আক্রমণের শিকার হতে পারে বা বর্তমানে আক্রমণের মুখে রয়েছে। এ ছাড়া ফ্লোটিলা তাদের ইনস্টাগ্রামে আটক হওয়া ২২৩ জন কর্মীর নাম ও জাতীয়তা প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে ফ্লোটিলার অফিশিয়াল ট্র্যাকার দেখাচ্ছে, এখন পর্যন্ত ২০টি নৌযান আক্রমণ করা হয়েছে। তবে আরও ২৪টি নৌযান গাজার উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। তুরস্কের কর্মী এরদেম ওজভেরেন জানিয়েছেন, তাদের নৌযান বর্তমানে গাজা থেকে ৩০ নটিক্যাল মাইলেরও কম দূরত্বে অবস্থান করছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা জানিয়েছে, ফ্লোটিলার ট্র্যাকার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী—‘মিকেনো’ নামের একটি জাহাজ গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে। তবে জাহাজটি ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এর আগে, গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে যাওয়া ফ্লোটিলাকে ভূমধ্যসাগরের উপকূলের কাছে ঠেকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। ফ্লোটিলার মুখপাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, যাত্রা এখনো চলমান। ইতোমধ্যে ২০০-রও বেশি কর্মীকে আটক করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।
প্রসঙ্গত, গাজার নৌ অবরোধ ভাঙতে ও সহায়তা পৌঁছে দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত কর্মী ৪০টিরও বেশি নৌযানে অংশ নিয়েছেন। তবে ইসরায়েল এর আগেও এ ধরনের ফ্লোটিলা অভিযাত্রা ব্যর্থ করেছে। এবারের যাত্রাও একই পরিণতির মুখে পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোর্স: মিডল ইস্ট মনিটর
বিডি প্রতিদিন/আশিক