চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে অগ্নিদগ্ধের শিকার শাহনাজ বেগমের (৩৮) মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তের ঘরে লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উপাদিক গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। বিক্ষুব্ধ জনতা এই সময়ে অভিযুক্ত নাসিমা বেগমের ২টি ঘরে লুটপাট চালায় এবং আধাপাকা একটি বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান শাহনাজ। এ খবর এলাকায় পৌঁছালে ক্ষুব্ধ জনতা এই আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জে অবস্থানরত সেনাবাহিনী সদস্যরা ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো: শাহ্ আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কমান্ডার কামরুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
মৃত শাহানাজ বেগমের স্বামী আমিনুল খান জানান, সুদের ব্যবসায়ী নাছিমা বেগমের সাথে গত কয়েক মাস ধরেই সুদের টাকা পরিশোধ ও স্ট্যাম্প দেয়া না দেয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে আমার স্ত্রীকে কয়েক দফা মেরেছে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে আমার স্ত্রীকে পিছন দিক থেকে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুণ ধরিয়ে দেয়। তখন আমিসহ লোকজন তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসা অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। সেখানেই বুধবার তার মৃত্যু হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ আলম বলেন, অভিযুক্ত নাছিমা বেগমের ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম