বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সমন্বয়কদের চাঁদা দাবির খবরে আমি বেদনায় নীল হয়ে গিয়েছি। গণঅভ্যুত্থানের এক বছরেই এই অবস্থা! যে তরুণরা দেশ গঠন করবে তারাই এখন চাঁদাবাজি করছে। আমরা কি এমন পরিণতি চেয়েছিলাম?
তিনি আরও বলেন, এত তাড়াতাড়ি যদি এসব ঘটে, তবে ভবিষ্যৎ কী? গোটা বাংলাদেশ তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। হাসিনা পতনের পর এই তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। কিন্তু দুঃখ হয়, জোর গলায় বলতে পারছি না যে, এ দেশ নতুন করে গড়ে উঠবে। দেশে এমন অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ফ্যাসিস্টদের নতুন করে সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
সোমবার দুপুরে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবদলের গ্রাফিতি আর্টসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসিনার বিচারের তো কিছু দেখতে পেলাম না, এক বছর হয়ে গেল। যারা প্রকাশ্যে হত্যা করল, তাদের কেন গ্রেফতার করা হলো না?
সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি সব ধরনের সহযোগিতা করছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের বিষয়ে সরকারের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তবে যতই চাপ তৈরি করে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হোক না কেন, দেশের মানুষ লড়াই করতে জানে। দেশের মানুষ লড়াই করে দেশকে মুক্ত করেছেন। তারেক রহমান চেষ্টা করছেন, কিভাবে বাংলাদেশকে আবার গড়ে তোলা যায়।
তিনি বলেন, কোনো একটি দল বা ছাত্ররা একা আন্দোলন করেননি, শিশু-বৃদ্ধ সবাই জুলাই অভ্যুত্থানে নেমে এসেছিল। সবার অংশগ্রহণে স্বৈরাচারের বিদায় সম্ভব হয়েছে। সত্যিকার অর্থে দেশকে পরিবর্তন ও নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাইলে, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, শ্রমিক, কৃষকদের মতামত নিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো দেশ, তাদের হাত ধরেই সোনার বাংলাদেশ গড়তে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ