গত ৩১ অক্টোবর ভোরে হঠাৎ গুলির শব্দ। ঘুম ভাঙে এতিমখানার শিশুদের। দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে একদল সশস্ত্র মুখোশধারী। বন্দুক ঠেকিয়ে তারা জিম্মি করে শিক্ষক ও ছাত্রদের।
আতঙ্ক, কান্না আর চিৎকার। পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় দুধের গরুগুলো। এই গরুগুলোর আয়েই এতিমদের খরচ মেটানো হতো। ঘটনার ৯ দিনেও গরুগুলোর কোনো হদিস মেলেনি। ধরা পড়েনি কোনো ডাকাত। এদিকে সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গেছে, বাইরে গুলির শব্দে শিক্ষক ও ছাত্রদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় তারা দরজা ভাঙার চেষ্টা কেরে। ডাকাতরা ভেতরে প্রবেশ করে সবাইকে জিম্মি করে।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও সংলগ্ন এতিমখানায় ঘটে এই ঘটনা। তিন মাসের ব্যবধানে এই মাদ্রাসায় এটি দ্বিতীয় ডাকাতি। দুই দফায় খামার থেকে লুট হয়ে গেছে মোট ১২টি গরু। মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ ঘটনায় শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও ছাত্রসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিষ্ঠানটির ব্যয় নির্বাহের একমাত্র উৎস এই গরুর খামার। এতিমদের খাবার, পোশাক ও পড়াশোনার খরচ মেটানো হয় এখানকার দুধ বিক্রির আয় থেকে। এখন সেই খামারের একপাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বাকি ১১টি গরু নিয়ে কেয়ারটেকাররা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (লাকসাম সার্কেল) রাজু আহমেদ বলেন, এটা একটা গুরত্বপূর্ণ ঘটনা। আমরা কাজ করছি। আশা করছি দ্রুত ভালো খবর দিতে পারবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল