রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের পোশাক পরিবর্তন কক্ষ থেকে সাথী বড়ুয়া নামে এক নার্সের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে সাথী বড়ুয়া নাইট ডিউটিতে ছিলেন। শুক্রবার সকালে দায়িত্ব শেষ হলে তিনি বিশ্রামের জন্য যান। সকাল ৯টার দিকে অন্য নার্সরা কাজে যোগ দিতে পোশাক পরিবর্তন কক্ষে ঢুকে সাথীকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সওকত আকবর বলেন, ‘ময়নাতদন্তে গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছাড়া অন্য কোনো আঘাতের আলামত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবার জানিয়েছে, সাথী কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন এবং শারীরিকভাবেও অসুস্থ ছিলেন।’
রাঙামাটি কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দীন বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহত নার্সের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে এটিকে অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে ধরা হয়েছে।’
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সওকত আকবর জানায়, ময়নাতদন্তে তেমন কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পরিক্ষা করে বুঝা গেছে গলায় ফাঁস লাগার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া শরীরে আর কোন আঘাতে চিহ্ন নেই। তবে আমরা তার পরিবার সূত্রে জানতে পেরেছে সাথী দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। একই সাথে অসুস্থ ছিল। তবে কেন সে আত্মহত্যা করেছে তার কোন সঠিক তথ্য জানা যায়নি।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার কর্মকর্তা ওসি মো. সাহেদ উদ্দীন জানায়, মৃত সার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়নি। তাই এটা একটি অপমৃত্যু জনিত মামলা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক