গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) জেলা কমিটি ঘোষণার মাত্র তিনদিনের মধ্যে নবগঠিত কমিটির সভাপতিসহ ৫৯ নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে নবগঠিত কমিটির সভাপতি মো. আল আমিন সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ৭৯ সদস্য বিশিষ্ট নবগঠিত কমিটির ৫৯ জন নেতা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
গণঅধিকার পরিষদের গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আল আমিন সরদারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভাগীয় উপ-কমিটির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ তুলে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নবগঠিত কমিটি গঠনের পর থেকেই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি আল আমিন সরদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম নাজমুল ইসলামসহ ৭৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে ৫৯ জন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পদত্যাগকারীদের অভিযোগ, নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় দলের মূলনীতি, যোগ্যতা ও মাঠপর্যায়ের ত্যাগ-তিতিক্ষা কোনোভাবে বিবেচনা করা হয়নি। অনেক পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীকে বঞ্চিত করে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ও পক্ষপাতের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা গণঅধিকার পরিষদের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী।
পদত্যাগকারীরা বলেন, আমরা সবসময় দলের প্রতি অনুগত থেকেছি, কিন্তু যে কমিটিতে আস্থা ও ন্যায়বিচার নেই, সেখানে থেকে কোনো দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা সম্মিলিতভাবে আমাদের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। তবে আমরা গণঅধিকার পরিষদের মূল আদর্শ, নীতি ও গণমানুষের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
পদত্যাগকারী সভাপতি মো. আল আমিন সরদার বলেন, ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটি ৭৯ সদস্য বিশিষ্ট গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। কমিটিতে সাবেক যুবলীগ নেতা ও মাঠে না থাকা ব্যক্তিদের পদ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে যিনি রাখা হয়েছে, তিনি কখনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এছাড়া টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের এক সদস্যকে কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রাখা হয়েছে। এতে কমিটিতে থাকা নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আমিসহ ৭৯ সদস্যের মধ্যে ৫৯ জন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল