চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
রবিবার লেবাননের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টায়ার প্রদেশের নাকোরায় একটি গাড়িতে ‘ইসরায়েলি শত্রুদের হামলায়’ একজন নিহত হয়েছেন এবং দেশটির পূর্ব বালবেক অঞ্চলের নবী শিটে একটি গাড়িতে আরেকটি হামলায় আরও একজন নিহত হয়েছেন।
পরে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বালবেক এলাকার আল-হাফির শহরে আরও একটি হামলায় একজন সিরিয়ান নাগরিক নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন।
প্রায় বছরব্যাপী যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল লেবাননের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল প্রায়শই বলে আসছে তারা হিজবুল্লাহর অবস্থানগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
রবিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা পূর্ব লেবাননে আলী হুসেইন আল-মুসাভিকে হত্যা করেছে। তাকে ‘হিজবুল্লাহর পক্ষে একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং চোরাচালানকারী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে আব্দ মাহমুদ আল-সায়েদ নামে একজন স্থানীয় হিজবুল্লাহ প্রতিনিধিকেও হত্যা করেছে।
ইসরায়েল সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হামলা তীব্র করেছে। গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলা চালিয়েছে।
গত সপ্তাহে, জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূত বলেছেন, লেবাননে বেসামরিক যানবাহনের ওপর মারাত্মক ইসরায়েলি হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা হিজবুল্লাহ সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
গত বছরের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি সেনাদের দক্ষিণ লেবানন থেকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং হিজবুল্লাহকে লিটানি নদীর উত্তরে ফিরে যেতে হবে এবং দক্ষিণে যেকোনও সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে এবং ইসরায়েলি হামলা বৃদ্ধির আশঙ্কায়, লেবাননের সরকার হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণ শুরু করেছে। কিন্তু, এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে হিজবুল্লাহ এবং তার মিত্ররা।
যুদ্ধবিরতির শর্ত থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল কৌশলগত বলে মনে করা পাঁচটি সীমান্ত পয়েন্টে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সূত্র: আল-জাজিরা, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ