খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম সাশ্রয়ের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছে। চার মাসে এই কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, এটি চলমান থাকবে।
সোমবার দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিভাগের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও আমন সংগ্রহ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তুতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, রাজশাহী অঞ্চল দেশের খাদ্য গুদাম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাদ্য উৎপাদন ও মজুত দুটোই পর্যাপ্ত থাকবে। তবে দেশে চালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমদানির প্রয়োজন হচ্ছে। এখন চাল শুধু মানুষের খাবার নয়, পশু-পাখি ও মাছের খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে, এবার আমরা গতবারের মতো ব্যাপক আমদানি করব না-সর্বোচ্চ চার লাখ টন চাল আমদানি করা হবে।
তিনি জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় রাজশাহীর নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ভালোমানের চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এতে স্বল্প আয়ের মানুষের ভোগান্তি কমেছে। চালের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেলেও দাম নির্ধারণে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কৃষিতে ভর্তুকি কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কৃষকদের সমস্যার সমাধান করা হবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সফলভাবে চার মাস সম্পন্ন হয়েছে, এটি চলমান থাকবে।
কৃষকদের বাদ রেখে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন খাদ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কৃষকরা এই দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ফ্রন্টলাইনের সৈনিক। তাদের বাদ দিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা কল্পনা করা যায় না। কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেলেও সরকার তাদের লাভ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গতবারের তুলনায় এবার বোরো মৌসুমে কেজিপ্রতি ৪ টাকা বেশি দামে চাল কেনা হয়েছে। এবারও আমনের দাম নির্ধারণে কৃষকের প্রকৃত খরচ বিবেচনা করা হবে। ফুল প্রাইসিং কমিটি সেই হিসাব অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করবে।
রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকেরা ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলন পাচ্ছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন বোরো মৌসুমে আমরা আরও ভালো ফলনের আশায় আছি। কৃষিতে ভর্তুকি কার্যক্রম চলমান রয়েছে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কৃষকের সমস্যার সমাধান করা হবে। রাজশাহীসহ সারা দেশে খাদ্য মজুতের কোনো সংকট নেই। উৎপাদন ও সংরক্ষণের সক্ষমতা-দুই দিক থেকেই বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে রয়েছে।
সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ