পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর পরিবারের অর্থ পাচার মামলায় সেই মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
এদিকে রিমান্ড আদেশ শুনেই অসুস্থ হয়ে কাঠ গড়ায় রাখা বেঞ্চে বসে পড়েন এনায়েত করিম চৌধুরী। পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঁধে ভর করে হাজতখানায় নিয়ে যান। পরে তিনি সুস্থ হন। অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ রমনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়। পরবর্তীতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সাবেক আইজিপি বেনজীর পরিবারের অর্থ পাচারের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জা, বড় মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও মেজো মেয়ে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করার অভিযোগ আনা হয়। মামলার অনুসন্ধান চলাকালে বেনজীরের অর্থ পাচারের সঙ্গে আসামি এনায়েত করিম চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা পায় দুদক।
এতে বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বেনজীর আহমেদ তার অপরাধলব্ধ ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদে উত্তোলনের পর কোথাও বিনিয়োগ করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অর্থ উত্তোলনের পরই বিদেশে চলে যান। ফলে নগদে উত্তোলিত অপরাধলব্ধ আয়ের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা ছদ্মাবৃত্ত করার লক্ষ্যে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন। গত ডিসেম্বরে ৭৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।