চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে তৃতীয় দিনের মতো দূরপাল্লার বাস বন্ধ হয়ে আছে। এবার বাস বন্ধ করে দিয়েছেন খোদ মালিকেরাই। বৃহস্পতিবার (২৫সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি বজলুর রহমান রতন।
তবে শুধু একতা ট্রান্সপোর্টের বাস এবং লোকাল বাসগুলো চলাচল করছে। অন্য সব পরিবহনের বাস বন্ধ আছে। এর আগে চলতি মাসেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে দুই দফা বাস বন্ধ করে দেন চালক, হেলপার ও সুপারভাইজাররা। মালিকপক্ষের দাবি, শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা অযৌক্তিক দাবি সামনে আনছেন যা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। শ্রমিকদের সঙ্গে না পেরে তারা নিজেরাই এবার বাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি বজলুর রহমান রতন জানান, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে গত মঙ্গলবার ঢাকায় তাদের সঙ্গে বসা হয়েছিল। তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সভা সুন্দরভাবেই শেষ হয়। এরপর বাস চলাচলও শুরু হয়।
রতন বলেন, ‘এখন শ্রমিকেরা দূরপাল্লার বাস যেখানে সেখানে থামিয়ে যাত্রী তুলতে চাচ্ছে। খোরাকি ভাতা দাবি করছে। যেখানে সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী তুললে তো ব্যবসা করা যাবে না। এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে নতুন করে বিরোধ। তারা বাস চালাবে না বলেছে। আমরাও বলেছি- ঠিক আছে, এভাবে বাস চালাতে চাই না। কয়দিন বসে থাকবে থাকুক।’
বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে তিন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস চালানো বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। দুইদিন পর মালিকপক্ষের আশ্বাসে তারা ফের বাস চালানো শুরু করেন। কিন্তু আশ্বাস অনুযায়ী বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা না হলে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ফের কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল পর্যন্ত একতা ছাড়া বাকি সব বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
তৃতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজারসহ দূরের গন্তব্যের যাত্রীরা ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। বাড়তি ভাড়া দিয়ে তাদের যেতে হচ্ছে। চাপ বেড়েছে ট্রেনে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ