টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা ও দুধকুমর নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীসার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে নদ-নদী অববাহিকার চর ও দ্বীপ চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল। এতে তলিয়ে গেছে সদ্য আমন খেতসহ শাকসবজি ও নানা ফসল। ফলে নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়ছেন এখানকার চরাঞ্চলের কৃষকরা।
নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান,পানি আরও বৃদ্ধি পেলে পানিতে তলিয়ে থাকা ধানসহ অন্য ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং তিস্তা নদীর পানি সামান্য কমে বিপৎসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে ও শিমুলবাড়ি পয়েন্টেও পানি অনেক বেড়েছে।
ফলে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমর নদের অববাহিকার নিচু এলাকায় পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলসমূহ তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে, তিস্তা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়নের বুড়িরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি ওঠায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
তিস্তা নদীর রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে মাঝের চর এলাকার বিনয় চন্দ্র জানান, তিস্তা নদীর পানি কখন বাড়ে কখন কমে আমরা বুঝতে পারি না। ফলে বানের পানিতেই ফসল তলাচ্ছে। পানি বাড়ার ফলে প্রায় ৭০ শতক জমির আমন খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোডে নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আগামী আরো দুইদিন ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় তিস্তা ও দুধকুমর নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এরফলে জেলার নদ-নদীগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও তা স্থায়ী হবে না।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল