কক্সবাজারে বিজিবি ও পুলিশের পৃথক অভিযানে ২ লাখ ৬৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন কারবারিকে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান জানিয়েছেন, রবিবার ভোরে বিজিবি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফের নাফ নদে অভিযান চালায়।
এসময় বিজিবি'র উপস্থিতি টের পেয়ে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা ফেলে পালিয়ে গেল তিন পাচারকারী।
তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান নাফ নদ দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হবে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি ও বিশেষ টহল জোরদার করা হয় নাফ নদীতে। অপরাধীদের ধরতে নাফ নদের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে ফাঁদপাতে বিজিবি। আন্তর্জাতিক সীমানা পার হয়ে তিনজন সন্দেহভাজন সাঁতরে আসতে দেখা গেলে আগে থেকেই বিজিবির ওঁৎ পেতে থাকা নৌটহল দলগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে জালিয়ারদ্বীপ ও শোয়ার দ্বীপের মধ্যবর্তী জলসীমায় অভিযান শুরু করে। মাদক কারবারিদের পালিয়ে যেতে দেখে বিজিবি'র নৌটহল দল তাদের ধাওয়া করলে পাচারকারীরা মাদকের প্যাকেটগুলো ছেড়ে দিয়ে দ্রæত মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। পরে পানিতে ভাসমান ইয়াবার প্যাকেটগুলো উদ্ধার করা হয়।
প্যাকেটগুলো থেকে ২ লাখ ৪০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় হ্নীলা জাদীমুড়া এলাকার -মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম বাদশা (৪২), একই এলাকার নুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ আয়াজ (রুবেল) (২৬), ইসমাইলের ছেলে জসিম উদ্দিনের (২৫) নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
এদিকে উখিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১টি মিনি বাস উদ্ধারসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে। কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পায়রা বাস সার্ভিস এর তাহেরা এন্টারপ্রাইজ গাড়িতে তল্লাশী করে গাড়ির চেচিস থেকে দশ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। আটৃককৃতরা হলেন, মোঃ শফিকুর ইসলাম রুবেল ও মোঃ নুরুল হাকিম।
এদিক টেকনাফ বিজিবি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাবরাং থেকে একটি অটোরিকশা থেকে ১৬ হাজার ইয়াবা ও নহদ ৫ হাজার টাকাসহ মোস্তাক আহমদ (৩৯) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছ। সে কক্সবাজার সদরের খুরুশখুল ইউনিয়নের সুলতান আহমদের ছেলে।
বিডি প্রতিদিন/এএম