গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দীর্ঘদিন অব্যবহৃত ও অপরিষ্কার খাল পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। পাটগাতী বাসস্ট্যান্ড থেকে টুঙ্গিপাড়া থানা পর্যন্ত প্রায় ২.২ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি কচুরিপানা ও জঙ্গলে ভরে যাওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এর ফলে জলাবদ্ধতা, দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রবের কারণে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ভোগান্তিতে ছিলেন।
রবিবার সকাল ৮টায় টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার উদ্যোগে খাল পরিষ্কারকরণ, রাস্তার দুই পাশে গাছের ডালপালা ছাঁটাই ও জঙ্গল অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পৌরসভা প্রশাসক ফারজানা আক্তার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীনুজ্জামান, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইউসুফ আলী, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীনুজ্জামান বলেন, পাটগাতী বাসস্ট্যান্ড থেকে টুঙ্গিপাড়া থানা পর্যন্ত খালটি দীর্ঘদিন অপরিষ্কার থাকায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। পৌর প্রশাসককে বিষয়টি জানালে তিনি দ্রুত খাল পরিষ্কারের নির্দেশ দেন। আশা করি শিগগিরই খালটি আগের রূপে ফিরে আসবে।
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, “বর্ষার সময় পানি নিষ্কাশনের জন্য খালটি ভরসা ছিল। দীর্ঘদিন কচুরিপানায় ভরে যাওয়ায় আমরা জলাবদ্ধতা ও দুর্গন্ধে ভীষণ কষ্ট পেতাম। খাল পরিষ্কার হওয়ায় আমরা খুব খুশি।” আরেক বাসিন্দা রেহানা বেগম বলেন, “ঘরে বসে থাকা যেত না, রাতে মশার কারণে বাচ্চাদের ঘুমও বাধাগ্রস্ত হতো। এখন খাল পরিষ্কার হলে পরিবেশও সুন্দর হবে। তবে নিয়মিত পরিষ্কার কার্যক্রম চালাতে হবে।”
স্থানীয় যুবক মোঃ মঈন ইসলাম বলেন, “খাল পরিষ্কার করা ভালো উদ্যোগ, তবে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না হলে কিছু মাসের মধ্যে পুনরায় কচুরিপানায় ভরে যাবে। তাই আমরা চাই এটি স্থায়ীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হোক।”
পৌর প্রশাসক ফারজানা আক্তার বলেন, “খাল পরিষ্কার হলে টুঙ্গিপাড়া পৌরবাসী দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে। খালকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে, যাতে নির্বিঘ্ন চলাচল সম্ভব হয় এবং বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনে কোনো সমস্যা না হয়। এছাড়া খাল ও ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি আমরা সৌন্দর্যবর্ধন ও আলোকায়ন প্রকল্প হাতে নেব। খালকে ঘিরে হাঁটার পথ, বসার স্থান এবং সবুজ পরিবেশ তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।”
বিডি প্রতিদিন/হিমেল