চাকরির ১২ বছর পার হলেও পদোন্নতি না পাওয়ায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৩২ ও ৩৩ ব্যাচের শতাধিক প্রভাষক রবিবার রাজধানীর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
প্রভাষকরা জানান, ৩৩তম বিসিএসের প্রায় ৩৫০ জন এবং ৩২তম বিসিএসের অন্তত ৫০ জন কর্মকর্তা এখনো প্রভাষক পদেই রয়েছেন। ৩৫তম বিসিএস পর্যন্ত মোট প্রায় ১,২৭২ জন কর্মকর্তা পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করলেও দীর্ঘদিন ধরে ডিপিসি (ডিপার্টমেন্টাল প্রোমোশন কমিটি) বৈঠক না হওয়ায় তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রভাষক শামীম আহমেদ বলেন, বারো বছর ধরে চাকরি করছি। পদোন্নতি না পেয়ে আমরা আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
৩২তম বিসিএসের প্রভাষক লাবনী বলেন, এই বৈষম্য গুণগত শিক্ষার জন্যও ক্ষতিকর।
অবস্থান শেষে বঞ্চিত প্রভাষকরা মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজাদ খান এবং বিসিএস সাধারণ শিক্ষা অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খান মাঈন উদ্দিন খান সোহেলের কাছে স্মারকলিপি দেন। মহাপরিচালক দ্রুত পদোন্নতির জন্য ডিপিসি চালুর আশ্বাস দেন।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ে পদোন্নতি প্রক্রিয়া ১৭ মাস ধরে স্থগিত আছে। দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দাবি, শূন্য পদের সীমা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে মতভেদ তৈরি হওয়ায় প্রক্রিয়াটি আটকে গেছে। মন্ত্রণালয় শূন্য পদের বাইরে পদোন্নতিতে রাজি নয়, আর অ্যাসোসিয়েশন আগের মতো অতিরিক্ত পদোন্নতির দাবিতে অনড়।
বঞ্চিত প্রভাষকরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মন্ত্রণালয় ও অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেও কোনো অগ্রগতি পাননি। তাই তারা দ্রুত ডিপিসি বৈঠক ডেকে নিয়মিত পদোন্নতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য প্রদান করেন ৩৩তম বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা এবং প্রভাষক শামীম আহমেদ, বিপাশা আহমেদ, নওরীন সুলতানা এবং ৩২তম বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা এবং প্রভাষক লাবনী, হোসনে আরা ফেরদৌস, ফখরুল ইসলামসহ অন্যান্য পদোন্নতি বঞ্চিত ক্যাডার কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই