ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নেতাদের হত্যায় কাতারের রাজধানী দোহায় স্থল অভিযান চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। তাদের আশঙ্কা ছিল, এই অভিযানের ফলে জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়বে এবং কাতারের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। কারণ গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
এরপর বিমান হামলা চালানোর পরিকল্পনা নেয় ইসরায়েল। এ হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে তেল আবিব। বিষয়টি স্পষ্ট হয় শুক্রবার। যখন হামাস পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের নেতা খলিলি আল হায়া ছেলের জানাজা নামাজে যোগ দিয়েছেন। দোহায় ইসরায়েলির হামলার পর গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, এতে হামাসের শীর্ষ নেতা খলিলি আল হায়া নিহত হয়েছেন।
মোসাদের কর্মকর্তা বলেছে, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি প্রস্তাব আলোচনার টেবিলে রয়েছে এবং এটি শেষ হওয়া উচিত। এ অবস্থায় তাদের ওপর হামলা করতে পরিস্থিতির আরও খারাপ হবে।
চ্যানেল ১২ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির, মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবি এই পরিকল্পনার বিরোধী করেন।
তবে এই হামলার পক্ষে ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ, মেম নামে পরিচিত শিন বেট এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান এবং কৌশলগত বিষয়কমন্ত্রী রন দারমার। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/একেএ