পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডঃ রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা হলো: সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ, সুজানগর পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান খাঁ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য কামাল উদ্দিন শেখ, সুজানগর পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল খাঁ, বিএনপি নেতা লেবু খাঁ, পৌর যুবদলের সদস্য মানিক খাঁ, যুবদল নেতা মনজেদ শেখ, যুবদল কর্মী হালিম শেখ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা শেখ কাউসার ও সুজানগর এনএ কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি শাকিল খাঁ।
সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক তৌফিক হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জৈনক মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র গত বুধবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফের গ্রুপের সমর্থকরা সুজানগর পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান খানের গ্রুপের সমর্থক সবুজ খানকে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনার জের ধরে ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে পৌর বাজারের নন্দিতা সিনেমা হল রোডে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় গোটা উপজেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করার পাশাপাশি সাধারণ জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। ফলে সুষ্ট এ পরিস্থিতিতে দলীয় স্বার্থে তথা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষে উক্ত নেতা-কর্মীদের বহিষ্কার করা হয় বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে দলের হাই কমান্ডের এ সিদ্ধান্তকে যথার্থ এবং সময়োযোগী বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সাধারণ নেতা-কর্মীসহ সবস্তরের জনসাধারণ।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধে এ ঘটনা ঘটে। কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি, ফলে ওই ঘটনায় কাউকে আটকও করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এএ