দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আশা মনি নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি আদালতের নজরে এলে তা আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে পিবিআই দিনাজপুরের একটি তদন্তকারী দল বীরগঞ্জে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নামে।
মঙ্গলবার দুপুরে পিবিআই’র এডিশনাল ডিআইজি মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফের নেতৃত্বে দলটি বীরগঞ্জ পৌর শহরের একতা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ক্লিনিক মালিক ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং প্রয়োজণীয় কাগজপত্র যাচাই করে।
এসময় বীরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাওন কুমার সরকার এবং বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল গফুর উপস্থিত ছিলেন।
পিবিআই’র এডিশনাল ডিআইজি মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, প্রসূতি আশা মনি গত ২০ জুলাই সন্তান প্রসবের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি হন এবং অপারেশনের সময় মারা যান। এ ঘটনায় জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর দিনাজপুর আদালত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মিসকেস নং ১/২৫ হিসেবে মামলা গ্রহণ করে।
তদন্তে অপারেশন প্যাডে কখনো ‘একতা ক্লিনিক’ আবার কখনো ‘নিউ একতা ক্লিনিক’ লেখা থাকাসহ লাইসেন্স, চিকিৎসকের যোগ্যতা ও অন্যান্য কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপারেশনকারী চিকিৎসকের নামের পাশে ‘এএফসিপিএস’ লেখা থাকায় বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে তিনি এ ধরনের অপারেশন করার আইনগত অধিকার রাখেন কিনা। আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল