পঞ্চগড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের দিন বাদে বাকি দিনগুলোতে নিয়মিত ক্লাস নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত শিক্ষা এবং কোচিং বিষয়ে শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এমন নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী। জানা যায়, সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষা চলছে। এই সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্কুল ছুটি নিয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, সেসব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয় নিজস্ব সিদ্ধান্তে। প্রায় দেড় থেকে দুই মাস ক্লাস বন্ধ থাকার কারণে এইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ে এবং লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট হয়।
এসব দিক বিবেচনা করে, যেসব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, সেসব স্কুল-কলেজে পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে বাকি দিনগুলোতে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ সময় তিনি বলেন, যে সব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেয়া হয়, সেই পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে ছুটি ঘোষণার কোনো সরকারি নির্দেশনা নেই। এতদিন নিজস্ব সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হতো। সারা দেশে এই অবস্থা ছিল। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আমি কথা বলেছি। পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস বন্ধ রাখার ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই শুধুমাত্র পরীক্ষার দিন বন্ধ রেখে বাকি দিনগুলোতে নিয়মিত ক্লাস নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে ক্লাস শুরু করেছে। সারাদেশে প্রথম পঞ্চগড় জেলায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে, শুধুমাত্র স্কুল ছুটি এবং ছুটির পর শিক্ষার্থীদের আগ্রহের ভিত্তিতে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে কোচিং পরিচালনারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সময় কোচিং নিয়ে সরকারি নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই নীতিমালা অনুসরণ করে কোচিং পরিচালনার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নীতিমালার বাইরে কোচিং বাণিজ্য করলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক। এ সময় শিক্ষা ও আইসিটি বিষয়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল সুলতান, জুলকার নাইন কবির, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক