ঈদ ও ঈদের আনন্দ পরিবার পরিজনদের সাথে ভাগ করে নিতে নিজ গন্তেব্যে ছুটছে মানুষজন। শেষ মুহূর্তে টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে অন্তত ৫/৭ গুন। মহাসড়কে গাড়ির চাপ ও শনিবার রাত তিনটার দিকে সেতুর উপর কয়েকটি যানবাহন অকেজো হয়ে পড়লে রাতে ১০/১২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।
এদিকে, আজ রবিবার ভোর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের অত্যাধিক চাপ রয়েছে। তবে কোথাও কোনো যানজট নেই। তবে এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে দীর্ঘ লাইন রয়েছে যানবাহনের। বড় ধরনের কোনো যানজট ও দুর্ঘটনা ছাড়াই নিবিঘ্নে মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছেন।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার রাতে সেতুর উপর তিনটি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। অন্যদিকে দুইটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। এসব গাড়ি সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগায় যানবাহনে ধীরগতির সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে রাতে ও সকালে দুই দফায় ঢাকাগামী যানবাহনগুলো সিরাজগঞ্জ প্রান্তে আটকে দিয়ে সেতুর উভয় প্রান্তের ১৮টি বুথ দিয়ে টোল আদায় করা হয়।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, শনিবার রাতে সেতুর উপর দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন সরিয়ে নিতে সময় লাগায় মহাসড়কে ধীরগতির যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে রবিবার ভোর থেকেই গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে। এছাড়া মহাসড়কে গাড়ির অত্যাধিক চাপ থাকায় কোথাও কোথাও দীর্ঘ লাইন দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত