ফরিদপুরের ভাঙ্গা। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সংযোগস্থল ভাঙ্গা। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভাঙ্গা। ভাঙ্গায় এবারের ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তির। যানজট নেই। তবে লোকজন ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের চলাচল অনেক বেশি। ঈদকে সামনে রেখে শনিবারও বাড়িমুখো লোকের ভিড় দেখা যায়। শনিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের বগাইল টোল প্লাজায়ও কোনো জট দেখা যায় নি। তবে গাড়ির চাপ অনেক বেশি ছিলো।
এ ভাঙ্গা হয়েই সরাসরি ও ভেঙে ভেঙে মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইল, মাগুরা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, মাদারীপুর ১৮ জেলার মানুষ ছুটে চলছে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য জেলায় মানুষ যাতায়াত করছে।
ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়ক ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও নগরকান্দা উপজেলার মধ্যে পড়েছে। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পদ্মাসেতু থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার। এ এক্সপ্রেসওয়ে, এক্সপ্রেসওয়ের সাথের সার্ভিস সড়ক ও মহাসড়কে ঈদযাত্রায় গাড়ির চাপ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রোকিবুজ্জামান বলেন, ঈদযাত্রায় বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ ও মানুষের চাপ বেড়েছে। ভাঙ্গা এলাকায় মহাসড়ক ও এক্সপ্রেস ওয়ের তদারকির জন্য পুলিশের ১১টি টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কে গাড়ির চাপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় গাড়ির গতি কখনও কখনও কম ছিলো। কিন্তু কোথাও যানজট নেই। ভাঙ্গা এলাকায় যানবাহনের চলাচল নির্বিগ্ন।
বিডি প্রতিদিন/এএ