বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেছেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, তাই হয়ত আজও বেঁচে আছি আমি। নইলে অনেক আগেই শুম খুনের শিকার হতাম। মানুষের স্বাধীনতা হরণকারী তৎকালীন ফ্যাসিস্ট শাসক ও তার দল কতটা নির্মম, বর্বর সেটি নিজ দেশের কয়েক হাজার মানুষকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করে দিয়ে গেছে। আমরা ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছি। কোনো অপশক্তি আমাদের এখন পথরোধ করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘ফিরে দেখা জুলাই’ শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা স্কুলের ডিন অধ্যাপক তানভির আহসানের সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের অনিয়ম, দুর্নীতি, পুলিশি অপশাসন, পেশি শক্তি, গুম খুন রাহাজানি, আয়না ঘরের নির্যাতন, কোটার অপব্যবহার, বাকশক্তি হরণ ও হিংস্রতা বর্বতার নানা চিত্র তুলে ধরেন বাউবির প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সাঈদ ফেরদৌস, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহা. শামীম।
জুলাই আগস্টের ভয়ংকর দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন বাউবির অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান, অধ্যাপক ড. একেএম আশরাফুল আলম, সহযোগী অধ্যাপক অনন্য লাবনী, সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান আরিফ সালিম, সহকারী অধ্যাপক মো. কবির উদ্দিন সহকারী অধ্যাপক মো. আল আমিন, মিডিয়া বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শরীফ মো. সাহাবউদ্দিন, আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ভুইয়া, সহকারী পরিচালক মো. আশরাফুল হক এবং বাউবির শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডসহ র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। উপাচার্যের দফতরের সামনে থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা ‘গণতন্ত্র রক্ষায় জনতার চেতনাই শক্তি’,‘শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না’ প্রভৃতি শ্লোগানে মুখর করে তোলেন গোটা ক্যাম্পাস।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি এবং তাৎপর্য নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/কেএ