২০২৪ সালের জুলাইয়ের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে রাঙামাটির পাহাড়ি জনপদে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রার্থনা, মোমবাতি প্রজ্বালন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মসূচি। কখনও মসজিদে, কখনও মন্দিরে, আবার কখনও বিহারে—সর্বত্রই বয়ে গেছে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও প্রার্থনার ধারা। বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়েছে শহীদ আবু সাঈদসহ সকল গৌরবময় শহীদকে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিলাইছড়ি বাজার সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধবিহারের উদ্যোগে প্রদীপ প্রজ্বালন ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ অংশ নেন। এ সময় ‘সাধু সাধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় পুরো পরিবেশ, আর শহীদদের স্মরণে মুখর হয়ে ওঠে বিহার প্রাঙ্গণ।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন গীর্জা, মন্দির এবং মসজিদেও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ প্রার্থনা, পূজা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করে আলোকিত করা হয় রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থান।
জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, শহীদদের স্মরণে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, প্রতীকী ম্যারাথন, বৃক্ষরোপণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং ‘জুলাই স্মৃতি স্তম্ভে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের অবদান অতুলনীয়। এটি কোনো একটি দিবসের মাধ্যমে স্মরণ শেষ করার বিষয় নয়—এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে চলার মতো গর্বিত ইতিহাস। রাঙামাটিতে আমরা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। একই সঙ্গে যাঁরা আন্দোলনে আহত হয়েছেন, তাঁদের নিয়মিত চিকিৎসাসেবা ও সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ