ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় যুথি আক্তার (১৩) নামক এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
রবিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রাম থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যুথি ওই গ্রামের কৃষক জামাল শেখের মেয়ে। সোমবার (২৪ মার্চ) তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, যুথি এক সময় স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। এখন পড়াশোনা করে না। রবিবার বিকেলে যুথি তার মায়ের সাথে সদরপুর মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে যায়। ইফতারের আগে মার্কেট থেকে ফিরে আসে। বাড়িতে এসে ইফতার করে। এরপর নামাজ পড়ে। রাত ৯ টার দিকে যুথির ছোট ভাই রায়হান তাকে শয়নকক্ষের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলতে দেখে চিৎকার করে। এ সময় বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে। পরে সবাই মিলে তার ঝুলন্ত দেহ নামায়। পরে বাড়ির লোকজন অচেতন অবস্থায় তাকে সদরপুর বিশ্ব জাকের মঞ্জিল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ রাত ২ টার দিকে তার লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মো. রিফাত উদ্দিন জানান, ৯৯৯ নাম্বারে কল পেয়ে ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর থেকে যুথি আক্তার নামক এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে সোমবার প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মেয়েটির মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে।
মানিকদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শহীদুল্লাহ্ বাচ্চু বলেন, আমার ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের এক কিশোরী মারা যাওয়ার খবর জেনেছি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ