সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের প্রতিবন্ধী শামীম ইসলামের (২৮) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বোনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শামীম কুটিরচর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। গত ৪ জুলাই তার লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- শামীমের বোন রেশমা খাতুন (২৫), প্রতিবেশী ভাবি হাবিজা খাতুন (৪২), ভদ্রঘাট এসিআই মিলের নিরাপত্তা প্রহরী গোলাম মোস্তফা (৫৫), সুমন চন্দ্র ভৌমিক (২৮), তপু সরকার (১৯) ও শফিকুল ইসলাম (৪০)। গতকাল বিকালে পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সিরাজগঞ্জ ডিবির ওসি একরামুল হোসাইন বলেন, রেশমা এসিআই মিলে চাকরির পাশাপাশি পতিতাবৃত্তি করত। রাতে তার বাড়িতে এসিআই মিলের নিরাপত্তা প্রহরীরা ও স্থানীয় লোকজন যাতায়াত করত। গত ১ জুলাই রাতে শামীম তার বোনকে এক নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। এ সময় রেশমা ও প্রহরী মিলে শামীমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরদিন রাতে এসিআই মিলের কয়েকজন প্রহরী শামীমকে ধরে হাবিজার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে রেশমাকে ডেকে নেন। প্রহরীরা শামীমকে ছুরিকাঘাত করে এবং রেশমা শামীমের শরীরে অ্যাসিড ঢেলে হত্যা করেন। এরপর মিলের কচুরিপানায় ভরা পুকুরের কিনারায় শামীমের লাশ ফেলে রাখে। ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে নিরাপত্তা প্রহরী গোলাম মোস্তফা, সুমন, তপু এবং রেশমা দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।