বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা অবসর নেওয়ার পর থেকেই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারতের ক্রিকেট। অনেকেই এই সময়টাকে ট্রানজিশন বলে থাকেন। কলকাতা টেস্টে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩০ রানে হারের পর ভারতীয় দলের আরও বেশি সমালোচনা হচ্ছে। তবে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের ঘটনায় ট্রানজিশনকে দোষ দিতে চান না সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার চেতেশ্বর পূজারা।
তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অল আউট হয়ে গেছে মাত্র ৯৩ রানে। কলকাতার উইকেটের অসমান বাউন্ড-টার্ন সামলাতেই পারেননি ভারতের ব্যাটাররা। তবে এক্ষেত্রে ভারতের ব্যাটারদের কোনো দোষ দেখছেন না পূজারা। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে এমন হার কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
জিও স্টারকে চেতেশ্বর পূজারা বলেন, ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় হারলে হয়তো মানা যেত। কিন্তু এই দলে যথেষ্ট প্রতিভা আছে। জয়সাওয়াল, কেএল রাহুল, শুভমান গিল… এমনকি ওয়াশিংটন সুন্দরও এই ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করেছে— তাদের সবারই ফার্স্ট-ক্লাস রেকর্ড দুর্দান্ত। তারপরও ঘরের মাঠে হারা মানে কোথাও না কোথাও সমস্যা আছে।
তিনি আরও যোগ করেন, এই ম্যাচটা ভালো উইকেটে হলে ভারতের জেতার সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল। টেস্ট ক্রিকেট কাকে বলে? কোন ধরনের উইকেটে আপনার জয়ের সম্ভাবনা বেশি? এমন ট্র্যাকে খেলা হলে দুই দল সমান হয়ে যায়। ভারতে এমন প্রতিভার ভাণ্ডার যে ভারত ‘এ’ দলও সহজেই সাউথ আফ্রিকাকে হারাতে পারে। তাই এটাকে ট্রানজিশনের দোষ দেওয়া যায় না।
ম্যাচজুড়ে যেখানে ইনিংস সর্বোচ্চ ছিল ১৮৯ রান এবং হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুই দলের মিলিয়ে মাত্র একজন ব্যাটার। এর আগেও স্পিন বান্ধব উইকেটে খেলেছে ভারত। ঘরের মাঠে এমন উইকেটেই খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তারা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গত বছর ৩-০ হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ভারত। এবার তারা আবারও এমন উইকেট বানিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে।
ব্যাটসম্যানদের পাশে দাঁড়িয়ে পূজারা বলেন, এমন উইকেটে ব্যাটসম্যানদের ওপর দোষ চাপানো যায় না। এমন ট্র্যাকে খেলতে হলে ব্যাটারদের আলাদা ধরনের শট খেলতে হবে, বেশি সুইপ, আরও ইতিবাচক খেলা, স্কোরবোর্ড এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু ব্যাটারদের ধারণা ছিল উইকেটে স্বাভাবিক টার্ন থাকবে, রান করা যাবে। বাস্তবে উইকেটটা মোটেও সেই রকম ছিল না। যদি ভারত এমন উইকেটই চায় যেখানে বল প্রথম দিন থেকেই ঘুরবে, তাহলে ব্যাটারদের মানসিকতা বদলাতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ