সাহাদাত হোসেন মিশন (৩০)। মাদারীপুর জেলার শিবচরের সন্তান। পল্লী চিকিৎসক পিতা হুমায়ুন কবির খানের বড় ছেলে তিনি। কাজ করতেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনের। থাকতেন ঢাকার শাহজাদপুরের খিলবাড়ির টেক। ১৯ জুলাই আন্দোলনে গিয়ে রাবার বুলেটে আহত হন। গত ৪ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় গুলির আঘাতে ভেঙে যায় পা। ১০ মাস ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। তবে কাজ করার মতো সুস্থ হতে পারেননি। এখন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না তার। থমকে গেছে তার স্বাভাবিক জীবন। বন্ধ হয়ে গেছে উপার্জনও। সরকার তার মতো আহত জুলাই যোদ্ধাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুক- এমনটাই দাবি। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের পূর্বকাকৈর গ্রামে আহত সাহাদাত হোসেন মিশনের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, খুঁড়িয়ে হাঁটছেন তিনি। সারাক্ষণ ঘরের মধ্যে বসে থাকতে ভালো লাগে না। ছোট ভাই-মা, বাবাকে নিয়ে মিশনের সংসার। বিয়ের পিড়িতে বসার আগেই অন্ধকার হয়ে আসছে ভবিষ্যৎ জীবন। মিশন জানান, ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটতে হয়। খুব দরকার না হলে বাড়ির বাইরে বের হন না। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এ জুলাই যোদ্ধা বলেন, ১৮ জুলাই কাজের জন্য আমি চট্টগ্রামে ছিলাম। রাতেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হই। ১৯ জুলাই, ঢাকায় ফিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিই। রামপুরার দিকে গেলেই পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট লাগে ডান পায়ে। এর পর ৪ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে তেজগাঁও-কারওয়ান বাজারের মাঝামাঝি স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ-বিজিবির মুহুর্মুহ গুলিবর্ষণ শুরু হয়। পরপর দুটি বুলেট বিদ্ধ হয় বাম পায়ে। ভেঙে যায় পা! মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোসা. ইয়াসমিন আক্তার বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি আমাদের বিশেষ নজর রয়েছে। সরকার তার চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।