পুরো মাঠে পানি থইথই করছে। কোথাও হাঁটুসম পানি, আবার কোথাও এর চেয়ে বেশি। পানিতে হাঁসের ঝাঁক ডুবসাঁতারে মেতেছে। বছরের প্রায় সাত মাস মাঠটি জলাবদ্ধ থাকে। ফলে এখানে কোনো খেলাধুলা হয় না। এমন চিত্র নড়াইল সদর পৌরসভার ভওয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের।
সামান্য বৃষ্টিতে স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বেশি বৃষ্টিতে হলে মাঠে পানি থইথই করে। বর্তমানে দুটি ভবনের বারান্দায়ও উঠেছে পানি। কাদাপানি মাড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে আসা-যাওয়া করেন। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী দৃষ্টি, পঞ্চম শ্রেণির উমামা, মালিহা ও তানহা জানায়, জলাবদ্ধতার কারণে তাদের পরনের পোশাক ভিজে যায়। জুতা পরে ফুল ড্রেসে স্কুলে যেতে পারে না তারা। প্রধান শিক্ষক নূরজাহান বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলে জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রথম থেকেই। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকার পানি এ মাঠে জমে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান শিগগিরই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। নড়াইল পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘পৌরসভার পয়োনিষ্কাশনের জন্য নতুন ড্রেন নির্মাণের মতো ফান্ড আপাতত নেই। ফ্রান্সের অর্থায়নে সেভেন টাউন প্রজেক্টের আওতায় ইতোমধ্যে সরেজমিন কয়েকবার সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি, এই মেগা প্রকল্পের সম্ভাব্য বাস্তবায়নকাল ২০২৬ সালে শুরু হলে ড্রেনেজ সংকট মোটামুটি কেটে যাবে।’