তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের সব নদনদীর পানি বেড়েছে। এতে ডুবে গেছে চর ও ডুবোচরের রবিশস্য। অসময়ে পানি বাড়ায় বড় লোকসানের আশঙ্কা করছেন রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার কৃষকরা। তবে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বাড়লেও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ মুহূর্তে বন্যার আশঙ্কা নেই। রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চরাঞ্চল ডুবে গেছে। কৃষকরা তাদের অপরিপক্ব বাদাম ও মরিচসহ সব ফসল পানি থেকে তুলে আনছেন। ভারতের গজলডোবা দিয়ে পাহাড়ি ঢল নেমে এ অঞ্চলে পানি বেড়েছে বলে জানান কৃষকরা।
রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে তিস্তায় জেগে ওঠা চরে চিনাবাদাম ১৭৫ হেক্টর, পাট ২০ হেক্টর, মরিচ ৩ হেক্টর, শাক-সবজি ৫ হেক্টর চাষাবাদ করা হয়। বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ গ্রামের কৃষক মাঈদুল ইসলামের ৬ একর, সরিফুল ইসলামের ২ একর, আবদুল কাদেরের ৩ একর, ও আবদুল জলিলের ৫ একর জমির চিনা বাদাম পানিতে নিমজ্জিত। তারা তলিয়ে যাওয়া বাদাম উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে গতকাল জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার সাথী বলেন, ‘হঠাৎ তিস্তার পানি বেড়ে শস্য তলিয়ে গেছে। উঠতি বাদাম দ্রুত তুলে নিতে পরামর্শ দিচ্ছি।’ এদিকে, উলিপুর উপজেলাতেও তিস্তার পানি বেড়ে বেশ কয়েকটি চরের শস্য পানিতে তলিয়ে গেছে। এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হবে। সরকারি প্রণোদনা এলে তারা পাবেন।’