প্রতি বছর শেরপুরের সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত বছরের শেষদিকে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা তছনছ করে দেয় এই তিন উপজেলা। ওই বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই আবার বন্যার আগাম বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন তিন উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। দুই দিন ধরে আবহাওয়া বার্তার সূত্র ধরে জেলা প্রশাসন বন্যা সতর্কতা জারি করে। শেরপুর সীমান্তে উজানে ভারতের মেঘালয় ও আসামে ব্যাপক বর্ষণ হওয়ায় দেওয়া হয় এ পূর্বাভাস।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিন উপজেলার অন্তত পাঁচটি নদীতে পানি সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কোথাও কোথাও গত শনিবার রাতের প্রবল বৃষ্টির পানি জমে আছে। নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী, ঝিনাইগাতীর মহারশি ও মালিঝি এবং শ্রীবরদীর কর্ণঝড়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও প্রতিদিনই বাড়ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে শনিবার পর্যন্ত ৯০ ভাগ জমির বোরো-ইরি ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখনো ২০ ভাগের ধান মাঠে রয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বন্যা মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা প্রতিটি উপজেলায় মাইকিং করে জনসচেতনতা তৈরি করছি। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেও।’